সুকুমার সরকার, ঢাকা: রমরমিয়ে চলছে জাল নোটের কারবার। নিশানায় ভারতের অর্থব্যবস্থা। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে ফাঁক গলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করছে নকল টাকা। রাজধানী ঢাকায় এমনই এক জাল নোট পাচারচক্রের পর্দাফাঁস করল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চক্রের মূল পাণ্ডাকে। তাঁকে জেরা করেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।
[নিরাপত্তার খাতিরেই কারাগারে বিচার খালেদার, দাবি আইনমন্ত্রীর]
র্যাব সূত্রে খবর, ঢাকায় জাল নোটের ছাপাখানা চালাত ধৃত শামসুল আলম। ভারতে পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বছর চুয়াল্লিশের ওই পাচারকারীর। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মহম্মদপুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। অভিযানে ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পাচারকারীকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলত নোট পাচারের কাজ। জাল নোট ছাপা হওয়ার পর তা পৌঁছে যেত এজেন্টদের হাতে। তারপর সেগুলি আসত সীমান্তে। তারপর তা দিয়ে দেওয়া হত কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় জমিতে থাকা পাচারকারীদের। সেখান থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তা পাচার হয়ে যেত।
ধৃত শামসুলকে জেরা করে আরও জানা যায়, এক লক্ষ টাকা মূল্যের নকল ভারতীয় নোটের বদলে পাওয়া যায় ২৫ হাজার টাকা। ভারতের পাচারকারীরা ওই দরেই নকল নোট কিনছে। এই ব্যবসায় জড়িত রয়েছে সীমান্তের কয়েকজন আধিকারিকও। এর আগেও ২০১৭ সালে শামসুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ তবে জামিন পেয়ে ফের জাল নোটের কারবার চালিয়ে জায় সে। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন ভারতও। জাল নোটের প্রসার বাড়লে তা অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক। এই চক্রান্তের নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হাত রয়েছে বলে আগেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একাধিক রিপোর্ট পেশ করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সীমান্তেও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে নজরদারি।
[দেশীয় স্যাটেলাইটে সফল সম্প্রচার, মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য বাংলাদেশের]
The post ২৫ হাজার টাকা ফেললেই মিলছে ১ লক্ষের কড়কড়ে নোট! appeared first on Sangbad Pratidin.