অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: কল সেন্টারের আড়ালে ভুয়ো ডেটিং চক্র খুলে চলছিল প্রতারণা। যাদবপুর ও কসবার দুই জায়গায় হানা দিয়ে এই চক্রের মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
শহরজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো ভুয়ো কল সেন্টার গজিয়ে উঠেছে। কলসেন্টার খুলে সফটওয়্যার পরিষেবা, গিফ্ট কার্ড- এসবের নামে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা করা হচ্ছে। সে জন্য কলসেন্টারগুলির উপর নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। যাদবপুরের পোদ্দার নগরে এরকম একটি ভুয়ো কল সেন্টার নজরে আসে গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকদের। সোমবার রাতে সেখানে হানা দেওয়ার পরই সামনে আসে ভুয়ো ডেটিং চক্র। মহিলাদের সঙ্গে ডেটিংয়ের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করা হত। প্রথমে গ্রাহকে মহিলার ছবি পাঠানো হত। পছন্দ হলে ওই মহিলার সঙ্গে ডেটিংয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হত। গ্রাহকের সুবিধা মতো হোটেল রিসর্টও বুকিং করে দিত। মহিলার সঙ্গে কতক্ষণ সময় কাটাবেন, তার উপর টাকা ধার্য করা হত। সঙ্গে হোটেল ভাড়া আলাদা দিতে হত। অনলাইনে আগে সব পেমেন্ট করতে হত গ্রাহককে। এছাড়া গ্রাহকের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আলাদা করে ১২ হাজার টাকা জমা দিতে হত। ডেটিংয়ের দিনই গ্রাহকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে দিত।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, সুনীল-সন্দেশ-গুরপ্রীতকে রেখেই এশিয়াডের দল ঘোষণা ভারতের]
লালবাজার জানিয়েছে, অনলাইনে পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর কোনও পরিষেবা প্রতারকরা দিত না। নির্ধারিত দিনে সেই হোটেল ও রিসর্টে গেলে গ্রাহকরা জানতে পারতেন তাঁদের নামে কোনও রুম বুকিং নেই। প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝতে পেরেও সম্মানহানি হওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা অভিযোগ করতেন না। তাই প্রতারকরাও নির্ভয়ে এই চক্র চালাচ্ছিল।
যাদবপুরে ভুয়া ডেটিং চক্রে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে কসবার ডেটিং চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। সেখান থেকে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের মূলপাণ্ডা কৌশিক ভৌমিক, সাগর পাত্র ও শৈলেন মাইতি। তিন অভিযুক্তকে রাজডাঙা এলাকায় একটি অভিজাত শপিংমল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।