অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ভুয়ো সিবিআই-আইএএসের পর এবার হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো চিকিৎসক। নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাঁতরাগাছিতে রীতিমতো চেম্বার খুলেছিলেন তিনি। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে পুলিশের কাছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সঞ্জয় কুমার (৪১) নামে ওই চিকিৎসক অন্য এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। বিষয়টি জানার পরই মঙ্গলবার রাতে ওই চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বুধবার ধৃতকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে তার তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয়ের আসল বাড়ি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। তবে তিনি থাকেন হাওড়া (Howrah) ময়দানের কাছে মল্লিকফটক এলাকায়। গত সাত বছর ধরে সাঁতরাগাছিতে চেম্বার করে দিব্যি অ্যালোপাথি চিকিৎসা করছিলেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাঁতরাগাছি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সম্প্রতি সঞ্জয়বাবু কয়েকজনের ভুল চিকিৎসা করেন। তাতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। তাঁরাই স্থানীয় সাঁতরাগাছি থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথমে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সঞ্জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি নয়, আঁটঘাট বেঁধে নামছে কমিশন]
পুলিশ জানায়, সঞ্জয় কুমার নামে এই ব্যক্তি এমবিবিএস পাস করার কোনও শংসাপত্র কিংবা নিজের রেজিস্ট্রশন নম্বর দেখাতে পারেননি। পুলিশের দাবি, তিনি স্বীকার করেন অন্য এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন জাল করে তিনি গত সাত বছর ধরে চিকিৎসা করেছেন। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ব্যবহার করছিলেন সঞ্জয় সেই চিকিৎসক মৃত। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে এই রেজিস্ট্রেশন ধৃত চিকিৎসক জাল করল, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ভুয়ো চিকিৎসকের জন্য কারও কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তাও দেখছে সাঁতরাগাছি থানা। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ওই চিকিৎসককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।