শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পুলিশি অভিযানে বাজেয়াপ্ত হল প্রায় কোটি টাকার জাল লটারির টিকিট। বিক্রির আগেই ধরা পড়ল এক গাড়ি লটারির টিকিট। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে এই লটারির কারবার শুরু হয়েছে আসানসোলে। দক্ষিণ ও উত্তর থানার যৌথ অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ৯ লক্ষ জাল লটারির টিকিট। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯০ লক্ষের কাছাকাছি। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়।
গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, দিল্লি থেকে ট্রেনে করে জাল লটারির টিকিট আনা হচ্ছে এবং স্টেশনের বাইরে থেকে এই লটারি শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই মতো পুলিশ নজরদারি শুরু করে। দক্ষিণ থানার অন্তর্গত কালিপাহাড়ি নাকা পয়েন্টে একটি অটোকে আটক করে। সেই অটোতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় নয় বস্তা জাল লটারি। ঘটনায় ওই অটো চালক-সহ এক যাত্রীতে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: এক প্রশ্নের দুই ‘সঠিক’ উত্তর, নিটের বিভ্রান্তি কাটাতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের]
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন "গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিপাহাড়ি নাকা পয়েন্টের কাছে ওই অটোটিকে আটক করা হয়। অটোর মধ্যে থেকে জাল লটারি আটক করা হয়েছে। সম্ভবত ভিন রাজ্য থেকে এই লটারি ছেপে শিল্পাঞ্চলে আনা হচ্ছিল।" প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বর এলাকাতে এই লটারি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, শিল্পাঞ্চল জুড়ে জাল লটারি রমরমা কারবার নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। এই লটারির সাবেকি নাম ঝাড়খণ্ড লটারি। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি লটারি বিক্রির সাথে সাথে গোপনভাবে জাল লটারি বিক্রি করে লটারি ব্যবসায়ীরা। সরকারি লটারি পুরস্কার প্রাপ্ত নম্বরের অনুকরণ করে এই লটারি খেলা হয়। জাল লটারিতে কেউ মোটা অংকের পুরস্কার পেলে তা দিতে অস্বীকার করে লটারি ব্যবসায়ী এমনও ঘটনা ঘটেছে অতীতে। কারণ এক্ষেত্রে অবৈধ লটারি কেনা প্রতারিত ব্যক্তিরা থানার দ্বারস্থ হতে পারেন না। এই অবৈধ কারবার রুখতেই শুরু হয়েছে অভিযান।