সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (PMO) উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। জেড প্লাস ক্যাটেগরি নিরাপত্তাও পেয়েছেন। আধিকারিকের পরিচয়ে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের (Jammu Kashmir) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও বসেছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন গুজরাটের ওই ভুয়ো আধিকারিক। জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই দু’বার কাশ্মীরে গিয়ে আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরেছেন ওই ব্যক্তি।
তৃতীয়বার বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েই গ্রেপ্তার করা হয় কিরন ভাই প্যাটেল নামে ওই গুজরাটি (Gujarat) ব্যক্তিকে। প্রায় ১০ দিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপনে রাখে কাশ্মীর পুলিশ। ভুয়ো আধিকারিককে হেফাজতে পাঠানোর পর প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। শ্রীনগরে বৈঠক করার সময়ে এক আইএএস আধিকারিকের সন্দেহ হয় কিরণকে নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোয়েন্দা বিভাগে খবর দেন।
[আরও পড়ুন: রাহুলের সাংসদ পদ বাতিল হোক, সরব বিজেপি, সংসদের ভিতরে-বাইরে আক্রমণ একাধিক মন্ত্রীর]
অবশেষে গোয়েন্দা বিভাগের নির্দেশে কিরণকে গ্রেপ্তার করে কাশ্মীর পুলিশ। কিরণের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গুজরাট পুলিশের বিশেষ দলও কাশ্মীর পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কিরণকে ভুয়ো আধিকারিক সাজতে সাহায্য করেছিলেন দুই পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও দুই আধিকারিকের পরিচয় জানা যায়নি।
কিরণ নামে ওই ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড। প্রায় এক হাজার ফলোয়ারের মধ্যে অন্যতম গুজরাট বিজেপির (BJP) জেনারেল সেক্রেটারি। ফলে ভুয়ো আধিকারিকের সঙ্গে বিজেপির যোগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিরণের সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজেকে সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। কাশ্মীরের একাধিক ছবিও পাওয়া গিয়েছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাশ্মীরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কী করে জেড প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে ঘুরে বেড়ালেন কিরণ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।