স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল বহু ভুয়ো পরীক্ষার্থী। মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার অভিযোগে লেকটাউন ও সল্টলেকের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের অধিকাংশই বিহারের বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
রবিবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল ও মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষার শুরুতেই অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষার সময়ই মেলে ভুয়ো পরীক্ষার্থীর খোঁজ। জানা গিয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড থাকলেও সেখানে উল্লিখিত বাবা-মায়ের নাম, বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হলে, সঠিক উত্তর দিতে পারছিল না অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা। তখনই তাদের আটক করেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: অর্জুনের ‘ঘর ওয়াপসি’, পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নতুন ছবি]
সল্টলেকের লবন হ্রদ বিদ্যাপীঠ তথা এডি স্কুল ও বিধাননগর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল তথা বিডি স্কুল থেকে মিলেছে সাতজন ভুয়া পরীক্ষার্থীর খোঁজ। পুলিশ সূত্রে খবর, এডি স্কুল থেকে ধৃত দুই ভুয়ো পরীক্ষার্থীর মধ্যে রূপেশ কুমার নদিয়ার ঝণ্টু মুণ্ডার হয়ে এবং মণিরাম সরকারের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল অচিন্ত্য বিশ্বাস। বাকি পাঁচ ভুয়ো পরীক্ষার্থীর খোঁজ মেলে বিডি স্কুল থেকে।
লেকটাউনে ১৬ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নারাণদাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুল, পাতিপুকুর পল্লীশ্রী বিদ্যালয়, পাতিপুকুর পল্লীশ্রী বিদ্যাপীঠ, পাতিপুকুর আদ্যনাথ শিক্ষামন্দির, ইস্ট ক্যালকাটা গার্লস কলেজ – এই পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে মিলেছে ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের খোঁজ। সবথেকে বেশি আদ্যনাথ শিক্ষামন্দির থেকে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের কারও সাক্ষর মিলছিল না, কারও ছবি মিলছিল না। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কথায় অসঙ্গতি মেলে। এছাড়া, তিন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের অধিকাংশই ভিনরাজ্যের। বিশেষ করে বিহারের। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোনও চক্র চলছে কি না, কে বা কারা সেই চক্রের সঙ্গে জড়িত জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।