গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টের (High Court) ভর্ৎসনার পর অবশেষে আর্থিক সাহায্য পেল হাঁসখালি নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার তাঁদের হাতে টাকা তুলে দেয় রাজ্য সরকারের লিগ্যাল লিগাল এড সার্ভিস অথিরিটি।
গত এপ্রিল মাসে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জল গড়ায় আদালতে। মৃতের পরিবারকে রাজ্যের তৈরি করা স্কিম অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য না দেওয়ায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেখানেই ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কাজ হয়নি। বরং মামলা পিছনোর আরজি করে লিগ্যাল এইড সার্ভিস অথিরিটি।
[আরও পড়ুন: দরজা খুলতেই গুলি চালাল দুষ্কৃতী! প্রতারণার ছক ফাঁস করতে গিয়ে গুরুতর জখম পুলিশ]
মামলার শুনানিতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে এই টালবাহানায় বিরক্ত প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি রাজ্যের লিগ্যাল এইডের আইনজীবীকে বলেন, “লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু অস্পষ্ট শব্দ বলে ব্যাপারটা আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের জন্য কত মানুষ ভুগছে। এত গুরুতপূর্ণ মামলায় কেন আপনারা ইনস্ট্রাকশন না নিয়ে আসেন? দায়সারা ভাবে কাজ হয় না। যেখানে নির্দিষ্ট স্কিম আছে, সেখানে আবার আলাদা ইনস্ট্রাকশন দরকার কী?” দ্রুত আর্থিক সাহায্য মৃতার পরিবারে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশেই কাজ। জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে লিগল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে মৃতার পরিবারকে। হাঁসখালি কাণ্ডে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দাবি করে একটি মামলা করা হয়েছিল। সেটির শুনানি ৩০ জানুয়ারি।