সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। বুধবার সেই জঙ্গির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই জঙ্গির পরিবারের সদস্যদের। তাদের বাড়িও বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কাশ্মীর (Jammu Kashmir) প্রশাসন। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগেই ওই জঙ্গির বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, সুনীল ভাট নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয় মঙ্গলবারে।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মীরি পণ্ডিতের (Kashmiri Pandit) উপরে গুলি চালানো জঙ্গির নাম আদিল ওয়ানি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ শুনে তাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বুধবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু সেই সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় আদিল। পরে তার বাবা এবং তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠন আল বদরের সদস্য আদিল ওয়ানি।
[আরও পড়ুন: লাদাখে সংঘাতের আবহেই যৌথ সামরিক মহড়ায় ভারত ও চিন]
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদ রুখতে চলতি বছরের শুরুর দিকেই নতুন নিয়ম চালু করেছে কাশ্মীর পুলিশ। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, কোনও স্থাবর সম্পত্তির বিরুদ্ধে যদি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাহলে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে পুলিশ। নতুন নিয়মের কথা জানিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়, যেন কেউ সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় না দেন। সেই আইনের বলেই আদিলের বাড়ি এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন কাশ্মীরের সোপিয়ানে একটি আপেল বাগানে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুনীল। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর ভাই পিন্টু ভাট। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বেশ কিছুদিন ধরেই কাশ্মীরে বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করছে জঙ্গিরা। টার্গেটের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম।