গোবিন্দ রায়: জয়নগরের মহিষমারি গ্রামে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা। এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আজই। যাতে দ্রুত শুনানি হয়, তার আবেদন জানিয়েছে পরিবার। সেই কারণে এদিনই শুনানি হতে পারে।
নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, মৃতার ময়নাতদন্তে কোনওভাবে রাজ্য সরকারি হাসপাতাল বা রাজ্য পুলিশের অধীনে করতে চায় না তারা। এক্ষেত্রে কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নিরাপত্তা বজায় রাখতে তাদের এই দাবি। তবে এ বিষয়ে জটিলতা রয়েছে। এর আগে এই ধরনের একাধিক অভিযোগের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় হাসপাতালে যখন ময়নাতদন্তের কথা বলা হয়, তখন একাধিক কম্যান্ড হাসপাতাল তাতে রাজি হয় না। তাদের তরফে আগের একাধিক ক্ষেত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় হাসপাতালে সেরকম পরিকাঠামো নেই, চিকিৎসকেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। হাই কোর্ট যদি পরিবারের দাবি মেনে নিয়ে নির্দেশও দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে জটিলতা থাকছে কম্যান্ড হাসপাতাল কি আদৌ ময়নাতদন্তে রাজি হবে?
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর দাবি, ''রাজ্য সরকারের অধীনে ময়নাতদন্তে চাইছি না। পরিবার চাইছে, নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হোক। দেহ সংরক্ষণেরও দাবি জানিয়েছি। এই মর্মে থানায়, ডিজি-র কাছে চিঠি করা হয়েছে। আমাদের চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে।” শনিবার নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবিতে পদ্মহাট গ্রামীণ হাসপাতাল ও কাঁটাপুকুর মর্গে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় বাম-বিজেপি। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ-উত্তেজনা। এর পর রবিবার ময়নাতদন্তের জটিলতা নিয়ে মামলা গড়াল হাই কোর্টে।
এদিন সকাল থেকেও জয়নগর উত্তপ্ত। দোষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে কুলতলি থানার সামনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির নেতৃত্ব দেয় কুলতলি থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ।