সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে বড়সড় সার্টিফিকেট পেয়ে গেল মোদি সরকার। তাও আবার একেবারে আন্তর্জাতিক সংস্থার। ভারত সরকারের আনা তিনটি কৃষি আইন গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা IMF। শুক্রবার আইএমএফের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন,”আমাদের বিশ্বাস এই তিনটি কৃষি আইন ভারতের কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের একটা বড় পদক্ষেপ হতে পারে। এই আইনের ফলে কৃষকরা সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ফলে মিডলম্যানের দাপট কমবে এবং কৃষকরা নিজেদের ফসলের অতিরিক্ত দাম পাবেন।” কৃষি আইনের প্রশংসা করলেও, এর ফলে যারা প্রভাবিত হবেন, বা যেসব মিডলম্যানরা কাজ হারাবেন, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে কেন্দ্রকে সতর্কও করে দিয়েছে IMF। তবে, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার যেভাবে এই বিতর্কিত আইনগুলির প্রশংসা করল তা নিঃসন্দেহে কেন্দ্রকে রাজনৈতিকভাবে অক্সিজেন জোগাবে। আসলে, কেন্দ্রও ঠিক এই উদ্দেশ্য নিয়েই বিতর্কিত কৃষি আইনগুলি পাশ করিয়েছে। তবে, কৃষকদের দাবি এই আইনের ফলে বর্তমানের মান্ডিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল বিক্রির প্রথা উঠে যাবে। এবং বাজার দখল করবে বেসরকারি সংস্থা। আর সেটা নিয়েই যত বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: আত্মসম্মানে আঘাত করলে কোনও ‘সুপার পাওয়ার’ও ছাড় পাবে না! ফের চিনকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের]
এদিকে, শুক্রবার কেন্দ্রের সঙ্গে নবম দফার বৈঠকে সম্মতি জানিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষক নেতারা। বিতর্কের জেরে গতকালই সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা ভূপিন্দর সিং মান। তারপরই সিদ্ধান্ত বদলান আন্দোলনকারীরা। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানান যে, শুক্রবারের বৈঠক নির্দিষ্ট সময়েই হবে। সঙ্গে বলেন, “আশা করব কৃষকদের সঙ্গে নবম দফার বৈঠক বেশ ইতিবাচকই হবে। সরকার খোলা মনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি।” কৃষকদের কাছে ‘খোলা মনে আলোচনা’-র এই কথা প্রথম থেকেই বলে এসেছে কেন্দ্র। যার অন্যতম শর্ত হল, অনড় মনোভাব নিয়ে আসা যাবে না বৈঠকে। তবে, বিক্ষোভকারী কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের একটাই দাবি, সরকারকে এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।