সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলনের জেরের বলি তরতাজা প্রাণ। হরিয়ানা পুলিশ এবং পাঞ্জাবের কৃষকদের সংঘর্ষে প্রাণ হারান বছর একুশের শুভকরণ সিং। তরুণের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মন। কিন্তু মৃতের পরিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা অর্থ সাহায্য চান না। শুধু ন্যায়বিচার চান।
এই ঘটনায় সরব ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে শামিল কৃষকরা। এই অভিযানের প্রধান জানান, এই ঘটনায় যতক্ষণ না পর্যন্ত পাঞ্জাব প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে কিংবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে, ততক্ষণ শুভকিরণের শেষকৃত্য করা হবে না। দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও ছাড়া হবে না। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো জরুরি। তবে কৃষকরা এবং শুভকিরণের পরিবার পাঞ্জাব সরকারের থেকে সুবিচারের দাবিতেই আপাতত সরব। মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা আমাদের বাড়ির ছেলের সুবিচার চাই। যা টাকা কিংবা চাকরির সমতুল্য নয়।”
[আরও পড়ুন: এবছর কত বাড়বে আপনার বেতন? কী বলছে সমীক্ষা?]
ভাটিন্ডার বাসিন্দা শুভকিরণ গত বুধবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় খনৌরিতে প্রাণ হারান। পাটিয়ালার রাজিন্দ্র হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনট্যান্ডেন্ট জানান, তাঁর মাথায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। শুভকিরণের পাশে দাঁড়িয়ে সরব কৃষকদের প্রধান সারওয়ান সিং পান্ধার। বলে দেন, “আর্থিক সাহায্যটা বড় বিষয় নয়। আমরা পরিবারকে বলেছি দুদিন কিংবা ১০ দিন লাগুক, আমরা চাই আগে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করতে হবে। তবেই তাঁর শেষকৃত্য করতে দেওয়া হবে।” পাশাপাশি শুভকিরণকে ‘শহিদ’ তকমা দেওয়ারও দাবি তোলা হয়েছে। কৃষক প্রধানের বিস্ফোরক অভিযোগ, প্রসাশনের তরফে শুভকিরণের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে বিষয়টাতে ইতি টানা হয়। কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়তে নারাজ মৃতের পরিবার এবং বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা। এবার দেখার এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করে পাঞ্জাব সরকার।