সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা ধরে তৈরি প্রতিরোধ নিমেষে গুড়িয়ে গেল! কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ শক্তির সামনে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ল মনোহর লাল খট্টরের পুলিশ-প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সীমানা পেরিয়ে পাঞ্জাব থেকে হরিয়ানায় (Haryana) ঢুকে পড়ল কৃষকরা। জল কামান, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েও রোখা গেল না তাঁদের। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তাঁরা।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২৭ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা (Farmer’s Protest) ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছেন। যদিও করোনায় নাজেহাল দিল্লির (Delhi) সবক’টি বর্ডার সিল করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। অবশ্য দিল্লি সরকারকে পালটা হুমকি দিয়ে রেখেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের বক্তব্য, যদি যন্তরমন্তর পর্যন্ত তাঁদের যেতে দেওয়া না হয়, তাহলে তাঁরা হরিয়ানা-দিল্লি হাইওয়েতে ধরনায় বসবেন। এরজন্য তাঁরা সঙ্গে অন্তত তিন মাসের রেশন, তাঁবু-সহ অন্যান্য জিনিসও নিয়ে আসছেন।
[আরও পড়ুন : ‘মন্দিরে চুমুর দৃশ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত! তাহলে খাজুরাহো কী?’ বিজেপিকে খোঁচা মহুয়ার]
এদিন সকালে পাঞ্জাব (Punjab) থেকে হরিয়ানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন কয়েক হাজার কৃষক। দুই রাজ্যে সীমানার কাছে একটি সংকীর্ণ সেতুতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তাঁদের। সেতুতে থাকা ব্যারিকড তুলে নদীর জলে ফেলে দিয়ে এগোতে থাকেন কৃষকরা। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন চাষিরা। অভিযোগ, তাদের হাতে লাঠি, তরোয়ালের মতো অস্ত্রও ছিল।
[আরও পড়ুন : বন্দিবস্থায় কীভাবে মোবাইল পেলেন লালু? অডিও ক্লিপ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের]
বিক্ষোভকারীদের রুখতে সেতুর মাঝে বরাবর একটি ট্রাক দাঁড় করানো ছিল। গায়ের জোরে সেটিকেও সেতুর এক পাশে ঠেলে দেন আন্দোলনকারীরা। তাদের রুখতে জলকামানও চালায় হরিয়ানা পুলিশ। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশি বাধা কাটিয়ে তারা হরিয়ানায় ঢুকে পড়েছেন। হরিয়ানার কৃষকরাও করনা হ্রদের কাছে জড়ো হয়েছেন। এবার তাঁদের গন্তব্য দিল্লি। কৃষকদের উপর পুলিশের এই অত্যাচারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।