সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের সামনে ফের মাথা নোয়াল কেন্দ্র। চিঠি দিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চাকে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, কৃষকদের অধিকাংশ দাবিই মেনে নিতে রাজি সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) থেকে শুরু করে কৃষকদের উপর হওয়া মামলা প্রত্যাহার, কৃষকদের এই দুই মূল দাবিই মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পরই আন্দোলনরত কৃষক নেতাদের একটা বড় অংশ বৈঠক প্রত্যাহারের পক্ষে মত দিয়েছেন।
বস্তুত, কৃষকদের প্রায় এক বছরের আন্দোলনের পর গুরুনানকের জন্মদিন দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই আন্দোলন ছেড়ে কৃষকদের মাঠে নামতে অনুরোধ করেন মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারেননি। তারপর কেন্দ্র সংসদে বিল পেশ করে সরকারিভাবে আইন প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু কৃষক বিক্ষোভ প্রত্যাহার হয়নি। সংযুক্ত কিষান মোর্চা সেসময় জানিয়ে দেয়, কৃষি আইন (Farm laws) প্রত্যাহার ছাড়াও কৃষকদের আরও বেশ কিছু দাবি আছে।
[আরও পড়ুন: ‘সাধারণ নাগরিকদের রক্ত বিফলে যাবে না’, নাগাল্যান্ডের ঘটনার বদলা নেওয়ার হুমকি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের]
কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়াও কৃষকদের মোট পাঁচ দাবি ছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দেওয়া, প্রস্তাবিত ইলেকট্রিসিটি সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করা, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করা। সূত্রের খবর, বুধবার চিঠি লিখে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে কৃষকদের দাবি মেনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে সরকার প্রস্তুত। একই সঙ্গে কৃষকদের বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি মামলা আন্দোলন চলাকালীন দায়ের করা হয়েছে, তাও প্রত্যাহার করা হবে।
[আরও পড়ুন: আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে শাহের সঙ্গে দেখা করবে TMC’র প্রতিনিধি দল, সময় চেয়ে দেওয়া হল চিঠি]
কেন্দ্রের এই আশ্বাস পেয়েই এদিন জরুরি বৈঠকে বসেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার (SKM) নেতারা। সূত্রের খবর, দীর্ঘ বৈঠকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছেন অধিকাংশ কৃষক নেতা। বুধবার বেলা দুটোর সময় ফের বৈঠকে বসবেন কৃষকরা। সেই বৈঠকেই বিক্ষোভ প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে। যদিও কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait) জানিয়েছেন, “সরকার অনেকদিন ধরেই এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কিন্তু যতক্ষণ না সবকিছু ঠিক হচ্ছে, কেউ বাড়ি ফিরবে না।”