shono
Advertisement

সেচ খাল মজে গিয়েছে, সমস্যায় বাগনানের কৃষকরা

রবি শস্য চাষে অনিশ্চয়তা। The post সেচ খাল মজে গিয়েছে, সমস্যায় বাগনানের কৃষকরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:59 PM Oct 23, 2018Updated: 08:59 PM Oct 23, 2018

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: উৎসবের মরশুমে সরকারি অফিসগুলিতে চলছে একটানা ছুটি। এদিকে সেচের জলের অভাবে বাগনান থানার জোকা গ্রামের প্রায় ১০০ চাষি সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন। এই জল সংকট রবি ফসল উৎপাদনে একটা বড়সড় বাধার সৃষ্টি করেছে।

Advertisement

এবছর প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নদীগুলির জলস্তর ভীষণ ভাবে নেমে গিয়েছে। সেই কারণে নদী সংযুক্ত সেচ খালগুলি প্রায় মজে গিয়েছে। যার ফলে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। বাগনান থানার জোকা গ্রামকে এলাকার ‘শস্য ভান্ডার’ বলা হয়। এখানকার সবজি হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়। রবি ফসল উৎপাদনে জোকা গ্রামের বিকল্প নেই। আর আসন্ন রবি মরসুমের ঠিক প্রাক্কালেই এই জল সংকট ফসল উৎপাদনে ব্যাপক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। সমস্যার সমাধানে তৎপর হয়েছেন বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস, বাঙ্গালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশিক রহমান প্রমুখ জনপ্রতিনিধি।

বিলুপ্তপ্রায় কই মাছ চাষে বিপুল সাফল্য হলদিয়ায় ]

সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে সোমবারই এলাকা পরিদর্শনে যান বাগনান-১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস। তিনি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন দামোদরের জোয়ারের জল সেচ খাল বাহিত হয়ে জোকা গ্রামে প্রবেশ করে। সেই জলের উপরেই এলাকার কৃষিজীবী মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু এবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় দামোদরের জলস্তর ভয়ঙ্কর ভাবে নেমে গিয়েছে। এলাকায় একটি গভীর নলকূপ থাকলেও তা থেকে প্রয়োজন মতো জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চাষিরা চরম সংকটে পড়েছেন। দামোদর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কেউ কেউ দামোদরের ধারে পাম্প সেট বসিয়ে চাষের জমিতে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু যেসব জমি আরও দূরে রয়েছে সেখানে জল পৌঁছচ্ছে না। চাষিরা নদী থেকে কলসি করে জল তুলে অনেক দূরের জমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে যেসব সবজি চারা লাগানো হয়েছে সেগুলি বড় করে তোলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের প্রয়োজন, কিন্তু প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে এবার সেই জল কৃষকরা পাচ্ছেন না।

সত্যজিৎবাবু বলেন এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ইরিগেশন এবং এগ্রো ইরিগেশন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন তবে সরকারি ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলি বন্ধ থাকায় এই মুহূর্তে অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। এছাড়াও সেচ খালটিও যেভাবে মজে গিয়েছে সেটিকে নতুন করে সংস্কার না করলে সমস্যা এখনই মিটবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। তিনি জানান ১০০ দিনের কর্মীদের দিয়ে এই খালটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং গভীর নলকূপটি রিসিংকিং করানোর জন্য এগ্রো ইরিগেশন দপ্তরকে বলা হবে। তবে সবটাই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। স্থানীয় বাসিন্দা মলয় গুছাইত জানান এই এলাকার অন্তত একশো মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নদীর উর্বর অববাহিকায় প্রায় দেড়শ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক সহ আলু, পটল, ঝিঙে, কুমড়ো, উচ্ছে, বেগুন, পেঁয়াজ, বরবটি ইত‍্যাদি চাষ করা হয়। এখানে আগে একটি সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে নদী থেকে জল তোলা হলেও গত দেড় বছর আগে এক ভয়ঙ্কর ঝড়ে সেই প্রকল্পটি ভেঙে পড়ায় জলের সমস্যা শুরু হয়। এবছর অনাবৃষ্টির কারণে সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ফুলকপি চাষ করে নজির গড়ল মুর্শিদাবাদ ]

The post সেচ খাল মজে গিয়েছে, সমস্যায় বাগনানের কৃষকরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement