সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারেজের (Durgapur Barrage) লকগেট ভাঙায় বিপন্ন মৎসজীবীদের জীবিকার স্বার্থে ফের মাছ ছাড়ার ভাবনা মৎস্য দপ্তরের। ২০১৭ সালে দুর্গাপুর ব্যারাজের ১ নম্বর লকগেট ভাঙার পর তার মেরামতির জন্যে জল শূন্য করা হয় দামোদরের জলাধার। সেই সময় সারারাত ধরে গেট খুলে দেওয়ার ফলে বহু মাছ নিম্ন দামোদরে চলে যায়। অন্য দিকে দামোদরে জল না থাকার সুযোগে দেদার মাছ ধরে নেয় সাধারণ মানুষ। দামোদর ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও নদীতে মাছ আর থাকে না।
সেই সময় আপার দামোদরের উপর নির্ভর করে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেন তাঁরা প্রবল সংকটে পড়েন। সেই সংকট দূর করতেই দফায় দফায় ছাড়া হয় মাছের চারা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি মাছের চারা ছাড়া হয় মোট ৭ লক্ষ ২০ হাজার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছাড়া হয় একই আকারের ৬০ হাজার চারা। মাছ ছাড়ার পর নদী তার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পায়। স্থানীয় মৎসজীবীদেরও জীবিকা নির্বাহ হতে থাকে স্বাভাবিকভাবেই।
[আরও পড়ুন: নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি অসমের এই বিশেষ চা, জানেন প্রতি কেজির মূল্য কত?]
এবারের লকগেট বিপর্যয়ের পর ফের দামোদর থেকে ‘লুঠ’ হয়েছে দেদার মাছ। শুকনো নদী থেকে পাকড়াও করা হচ্ছে মাছ। আপার দামোদর ফের মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ফের মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মৎস্য দপ্তরের। জেলা মৎস্য দপ্তরের সহ-অধিকর্তা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজ্য মৎস্য দপ্তরকে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেই মতো প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।” চলতি বছরেই দামোদরে শুরু হবে বিপুল পরিমাণ মাছ ছাড়া।