ধীমান রায়, কাটোয়া: বাড়ির মধ্যেই উঠানে চৌবাচ্ছায় হচ্ছে কই, সিঙি মাছের চাষ। কম সময়ে কম জায়গায় বেশি পরিমাণে মাছ চাষ করতে নতুন কৌশল শেখাচ্ছে কৃষি দপ্তর। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের করুঞ্জি গ্রামে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি দপ্তর থেকে দেওয়া হচ্ছে মাছের চারা।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, করুঞ্জি গ্রামে দু’জন উপভোক্তাকে ৫০০০টি করে মাছের চারা দেওয়া হয়েছে। তারা বাড়ির উঠোনেই শুরু করেছেন। একজন কই ও অপরজন সিঙ্গি মাছের চাষ শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমানের উপ কৃষি অধিকর্তা আবদুস সালাম বলেন, “আত্মা প্রকল্পে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে মাছচাষ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে আমরা এই চাষের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সরকারিভাবে চারামাছ অনুদান হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। বাকি খরচ উপভোক্তাদের।” শুক্রবার আউশগ্রামের করুঞ্জি গ্রামে যান উপ কৃষি অধিকর্তা আবদুস সালাম, ডিরেক্টর সম্পদরঞ্জন পাত্র, আউশগ্রাম ১ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা দেবতনু মাইতি। দেবতনু মাইতি বলেন, “বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কম খরচে, কম জায়গায় এবং অল্প সময়ে মাছ চাষ করা যায়। ৫০০০ লিটার জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি চৌবাচ্ছায় প্রায় ৫০০০টি কইমাছ বা সিঙ্গি মাছের চাষ সম্ভব। তা আমরা হাতে কলমে শেখাচ্ছি।”
আউশগ্রামের করুঞ্জি গ্রামে কৌস্তভ রায় এবং প্রদ্যুত ঘোষ এই দু’জনের বাড়িতে বারোফ্লক পদ্ধতিতে মাছের চাষ শুরু হয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি বাড়ির ছাদে সবজিরও চাষ হচ্ছে। চৌবাচ্ছার নোংরা জল পাম্পের সাহায্যে ছাদে তোলা হচ্ছে। সেখানে কাঠকয়লা ও নুড়িপাথরের উপর জল ফেলে শোধন করা হচ্ছে। তলায় পড়ে থাকছে মাছের মল ও বর্জ্য। সেগুলি ব্যবহার হচ্ছে সবজি চাষে জৈব সার হিসাবে।
[আরও পড়ুন: কেনার ভাবনা ছেড়ে বাড়িতেই করুন কারিপাতা চাষ, জেনে নিন পদ্ধতি]
কৃষি আধিকারিকরা জানান, বায়োফ্লক পদ্ধিতে মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। ৫ গ্রাম ওজনের মাছের চারা ৩-৩.৫ মাসের মধ্যে বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যাবে। তখন ১০০-১২০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হবে।
আউশগ্রামে ওই দুই বাড়িতে ৬ ফুট/ ৬ ফুট চৌবাচ্চা করে তার উপরে ছাউনি করা হয়েছে। চৌবাচ্চার জলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য আ্যকোয়ারিয়ামের মতো ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
The post বাড়ির চৌবাচ্চাতেও করা যেতে পারে মাছ চাষ, জেনে নিন পদ্ধতি appeared first on Sangbad Pratidin.