সৈকত মাইতি, তমলুক: ঊর্ধ্বমুখী ডিমের দাম! পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাড়তি ডিমের চাহিদা পূরণে এবার আমজনতাকে হাঁস চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য। সেই কারণে স্বনির্ভর দলের মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করতে চলেছে প্রশাসন। পাঁচ হাজার হাঁসের ছানা বিতরণ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবজি, মাছ-মাংসের মতোই বাড়ছে ডিমের দাম। খুচরো বাজারে প্রতিপিস ব্রয়লার মুরগির ডিমের দর ৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। রোডেয়েল মুরগির ডিম প্রতি পিস বিকোচ্ছে ১২ টাকায়। হাঁস ডিমের দর জোড়া ৩০ টাকা। এমন অবস্থায় হাঁস পালনের সংখ্যা বাড়েই ডিমের দাম আয়ত্তে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর তথা রাজ্যের একটা বিপুল সংখ্যক ডিমের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে ভিনরাজ্যের যোগানে। উল্টোদিকে আবার জেলায় হাঁস চাষের উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও তা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমানে এই বিপুলসংখ্যক চাহিদার কথা মাথায় রেখে লেয়ার রোডাইল মুরগির পাশাপাশি উন্নত প্রজাতির হাঁস প্রতিপালনের উদ্যোগ নিচ্ছে সি এ ডি সি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে জেলার কৃষি খামার গুলোতে এই মুরগি ও হাঁসের প্রতিপালনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সিএডিসির আধিকারিকদের দাবি, এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুর অনেকটাই নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত। আবার ছোট বড় জলাশয় রয়েছে প্রচুর। যা কিনা রীতিমতো হাঁস চাষের উপযুক্ত। শুধু তাই নয়, হাঁস চাষের ক্ষেত্রে তেমন একটা খরচেরও প্রয়োজন হয় না। সিএডিসির তমলুক প্রকল্পের আধিকারিক ডক্টর উত্তম কুমার লাহা বলেন, মূলত ভাতের পাশাপাশি গৃহস্থের বেঁচে যাওয়া উচ্ছিষ্ট খাওয়ার খেয়ে খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারে হাঁস। তাছাড়া নিচু জলাশয়ে থাকা গুগলি কিংবা বিভিন্ন প্রাণীজ খাবারের মাধ্যমে খুব সহজেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে।