shono
Advertisement

বিয়েবাড়ি নাকি নির্বাচন কমিশনের দপ্তর! ছেলের বিয়েতে ভোট দেওয়ার আরজি বাবার

ভোটারদের সচেতনতা বাড়াতে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলিতেও প্রচার চালাচ্ছে কমিশন। The post বিয়েবাড়ি নাকি নির্বাচন কমিশনের দপ্তর! ছেলের বিয়েতে ভোট দেওয়ার আরজি বাবার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:33 PM Nov 19, 2018Updated: 08:42 PM Nov 19, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভোট আসে, ভোট যায়, আমাদের অবস্থা সেই তিমিরেই থেকে যায়৷ তাই ভোট দিয়ে কী হবে?’৷ ভোটদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছিল এই মানসিকতা৷ হয়তো অনেকের মনে এখনও রয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু দেশবাসীর এই অনীহা দূর করতে নির্বাচন কমিশন আগেও উদ্যোগ নিয়েছে, এখনও নিয়ে চলেছে নানান প্রচার কৌশল৷ ওই কৌশলগুলি যে একেবারে বিফলে যায়নি এর প্রমাণ আগেও মিলেছে, মিলল আবারও৷ মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাতে সকলে ভোটদান করেন, ছেলের বিয়ের আমন্ত্রিতদের এমনই আহ্বান জানালেন মানবাধিকার কর্মী আতাউল্লাহ খান৷ তবে, একদম নয়া কৌশলে৷যা দেখে অবাক নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা বলছেন, ‘এভাবেও সম্ভব!’

Advertisement

[ঘূর্ণিঝড় গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫, বন্ধ স্কুল-কলেজ]

মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে থাকেন মানবাধিকার কর্মী আতাউল্লাহ খান৷ কয়েকদিন আগেই ছেলে সলমন খানের বিয়ে দেন তিনি৷ বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে চলছিল সেখানে হিন্দি ও উর্দুতে বেশ কয়েকটি বড় পোস্টার লাগান তিনি৷ যাতে লেখা ছিল, ‘সকলে ভোট দিন, নিজের ভোট নিজে দিন’৷ কেবল পোস্টার লাগিয়েই থামেননি তিনি, আমন্ত্রিতদের মৌখিকভাবেও এই একই আরজি জানান আতাউল্লাহ খান৷ এই উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি জানান, “আমি মনে করি ভোটদান করা প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব৷ সেই বোধ থেকেই ছেলের বিয়েতে এই প্রচার করেছি আমি৷ যেহেতু এই শহরে বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু বাস করেন তাই, হিন্দি ও উর্দু দুই ভাষাতেই পোস্টার লাগিয়েছি৷” আতাউল্লাহর এই প্রচার কৌশল এবার অন্যান্য বিয়ের অনুষ্ঠানগুলিতেও ব্যবহার করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন৷ ওই অনুষ্ঠানগুলিতেও এই ধরনের পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করছে কমিশন৷

[ফের উত্তপ্ত সবরীমালা, পুলিশি নির্দেশ না মানায় আটক ২৮]

জানা গিয়েছে, আসন্ন মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যক ভোটারকে বুথমুখি করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিক ও কর্মীরা৷ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারের পাশাপাশি, প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের আশ্বস্ত করছেন কমিশনের কর্মীরা৷ অনুরোধ করছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এবং ভোটের মাধ্যমে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করার জন্য৷ নির্বাচনকে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব বলা হয়৷ এই উৎসবে দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের যোগদান করার অধিকার রয়েছে৷ অধিকার রয়েছে পাঁচ বছরের জন্য নিজের পছন্দের জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার৷ কিন্তু বিভিন্ন কারণে গণতন্ত্রের এই সবচেয়ে বড় উৎসব থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বা নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নাগরিকরা৷ তা আটকাতেই উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। 

The post বিয়েবাড়ি নাকি নির্বাচন কমিশনের দপ্তর! ছেলের বিয়েতে ভোট দেওয়ার আরজি বাবার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement