কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: সন্তান বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন। তা নিয়ে মানসিক টানাপোড়েন চলছিল। সম্ভবত তার জেরেই ছেলেকে খুনেক পর আত্মঘাতী বাবা। এই ঘটনায় বহরমপুর পুরসভার পিলখানা রোডে নেমেছে শোকের ছায়া।
বছর বাহান্নর কার্তিক চক্রবর্তী বহরমপুর পুরসভার পিলখানা রোডের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তাঁর একমাত্র সন্তান কারণ্য। বছর আটেকের কারণ্য বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন বাড়ির মূল দরজা বন্ধ। বাড়ির উঠোনে থাকা কাঁঠাল গাছে ঝুলছে কার্তিক এবং কারণ্যর নিথর দেহ।
[আরও পড়ুন: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত ‘মোকা’, দুপুরেই ল্যান্ডফল]
খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাড়ির গেটে তালা দিয়ে প্রথমে সন্তানকে খুন করে দেহ কাঁঠাল গাছে ঝুলিয়ে দেন কার্তিক। পরে আত্মঘাতী হন। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রতিবেশীরা জানান, কারণ্যকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন কার্তিকবাবু। সে বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় নানা বাঁকা কথা শুনতেন কার্তিকবাবু। তাতেই অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণে এই অঘটন বলেই মনে করছেন তাঁরা।