অর্ণব দাস, বারাসত: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী গোবরডাঙার বাসিন্দা প্রেরণা পাল। কৃতী এই ছাত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুক্রবার তার বাড়িতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গেলে সেই চর্চা আরও বাড়ে। এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন প্রেরণার বাবা।
উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী গোবরডাঙার বাসিন্দা প্রেরণার বাবা অশোক পাল। পেশায় শিক্ষক। তাঁর মতে, মেয়ের মন্তব্যে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং সংবাদমাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয় জেনেই সে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অশোক পালের কথায়, “মেয়ের যারা প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা সকলেই যোগ্য কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না। তাঁদের কেউ কেউ ধর্মতলার আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। মেয়ের কিশোরী মনে এটা প্রভাব ফেলেছে।”
[আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে ফের বিপুল কর্মসংস্থান, জিন্দলদের অব্যবহৃত জমিতে নয়া শিল্প, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
অশোকবাবুর মেয়ে প্রেরণা যে বিষয় নিয়ে পড়তে চায় তাতে ভবিষ্যতে হয় তাকে স্কুল শিক্ষক না হলে অধ্যাপক হতে হবে। তাই নিয়োগ অস্বচ্ছ হলে মেয়ের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন অনিশ্চিত। সেই জায়গা থেকেই প্রেরণা একথা বলেছে বলে মত অশোক পালের। তাঁর আরও সংযোজন,”শিক্ষক এবং অভিভাবক হিসেবে আমিও একমত। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তার বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন বলেও এদিন জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিতর্কের সূত্রপাত উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রেরণা বলেছিল, “এ দুর্নীতি যুক্ত রাজ্য আমার রাজ্য হতে পারে না।” তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। অনেকের অভিযোগ ছিল, প্রেরণার বাবা বাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাই এধরনের মন্তব্য করেছে সে। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রেরণার বাবা। আর উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী প্রেরণা নিজের অবস্থান বদলাচ্ছে না। সে বলছে, “যা দেখছি, যা শুনছি, যা বুঝছি সেই থেকে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা থেকেই মতামত প্রকাশ করেছি।”