সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে শাস্তি দেওয়ার জের। ছাত্রীর বাবার হাতে নিগৃহীত শিক্ষিকা। অটো থেকে নামিয়ে শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রীর বাবার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার চিংড়িপোতায়। পুলিশের দ্বারস্থ শিক্ষিকা।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার চিংড়িপোতার রাজারামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ান প্রহৃত শিক্ষিকা। তাঁর নাম অমৃতা মিত্র দত্ত। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন তিনি। অভিযোগ, স্কুলের সপ্তমশ্রেণির এক ছাত্রীর উপর শাসনের নামে অত্যাচারের অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তাকে ওঠবোসের পাশাপাশি কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, এর জেরে নাকি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এই ঘটনার জেরে পরিবারের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে শিক্ষিকার উপর। অভিযোগ, এদিন স্কুলের সামনে শিক্ষিকাকে অটো থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর পর ছাত্রীর বাবা তাঁকে মারধর করে।
[আরও পড়ুন: মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রামের নামে স্ট্যাম্প প্রকাশ, রামভক্তদের শুভেচ্ছা মোদির]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রীর বাবা অরুণ মণ্ডলকে স্থানীয়রা আটকানোর চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এদিকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় স্থানায়। পুলিশ ছাত্রীর মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। এদিকে বেহালার বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফোনে স্বামীকে সমস্ত ঘটনার কথা জানান। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান তিনি। এই ঘটনায় অন্য শিক্ষিকারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহকর্মীর উপর এমন অতর্কিত হামলার নিন্দা করেছেন।