সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র তেরো বছর বয়সি কন্যাকে লাগাতার দশ মাস ধরে ধর্ষণ করত বাবা। এই ঘটনার পরে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছে ওই নাবালিকা। এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ঘটনায় আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল। তখনই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, ওই কিশোরী সন্তানসম্ভবা। গত বুধবার একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় ওই নাবালিকা। হাসাপাতালের তরফ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তখনই জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মেয়েটির বাবা দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করত। সেই সঙ্গে মেয়েটিকে হুমকি দিয়েছিল, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুব খারাপ হবে।
[আরও পড়ুন: আরও বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা! ঘোষণা শীঘ্রই]
আট বছর আগে মেয়েটির মা বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপরে ভাইয়ের সঙ্গে দাদু-ঠাকুমার কাছেই থাকত ওই নাবালিকা। প্রতিদিন ঠাকুমার রান্না করে দেওয়া খাবার পৌঁছে দিত বাবাকে। সেই সময়েই তাকে ধর্ষণ (Tamil Nadu Rape) করা হত। বাবার হুমকির ভয়েই কাউকে কিছু জানাতে পারেনি ওই নাবালিকা, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। কথাবার্তায় আরও জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকেই নির্যাতন চালানো হত ওই নাবালিকার উপরে।
তদন্তের পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ভেলোর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ৪১ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। আপাতত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কিছু ধারা আরোপ করা হয়েছে।
ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তামিলনাড়ুর এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সুলেখা বেগম অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, “অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে ওঠে, সেটা কখনওই বরদাস্ত করা যায় না। পুলিশ ওকে সর্বোচ্চ সাজা দিক, এটাই চাই।”