সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও সরকারি ঘোষণা করেননি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেবেন তিনি। বুঝিয়ে দেবেন, অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে তাঁকে আর দেখা যাবে না।
তিনি বঙ্গতনয়া স্বপ্না বর্মণ।
এশিয়ান গেমসে (Asian Games) সোনাজয়ী স্বপ্না (Swapna Barman) সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি আর অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাকে নামবেন না। কয়েক দিনের মধ্যেই সরকারিভাবে নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবেন তিনি। স্বপ্না এখন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের কর্মী। ওয়ারাঙ্গলে এখন চলছে জাতীয় ওপেন অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। সেখানে তিনি হাইজাম্পে সোনা জিতেছেন। আর সোনা জয়ের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সামনে এল তাঁর মনের কথা। কিন্তু আচমকা মাত্র ২৪ বছর বয়সে এমন সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছেন তিনি?
[আরও পড়ুন: পঞ্চম বিদেশিও তুলে নিল SC East Bengal, এবার সই করলেন ডাচ মিডফিল্ডার]
আসলে স্বপ্না সরে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর পিঠের চোটের কারণে। “আমার শরীর আর নিতে পারছে না। মানসিক দিক দিয়ে আমি খুব বিপর্যস্ত। তাই আমার পক্ষে ব্যাপারটা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে না।” ওয়ারাঙ্গল থেকে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথাই জানালেন স্বপ্না। তাঁর আরও সংযোজন, “বিভ্রান্ত আমি। তবে ৮০-৯০ শতাংশ মানসিক দিক দিয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর ট্র্যাকে ফিরব না। এটা ঘোষণা করব কিছুদিনের মধ্যে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার পর।” তিনি আরও বলেন, “আমি জাতীয় ওপেন প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে চাইনি। কিন্তু রেলের কাছে আমি টুর্নামেন্টে নামতে দায়বদ্ধ। সেই জন্যই এখানে নেমেছি।” চোট ও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় অনেক দিন ট্র্যাকের বাইরেই ছিলেন। এ বছর নেমেছিলেন ফেডারেশন কাপে। নামলেন জাতীয় ওপেন প্রতিযোগিতাতেও। ডাক্তাররা তাঁকে রিহ্যাবের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু স্বপ্না বুঝতে পারছেন সমস্যা খুব গভীরে। এত সহজে সমাধান হওয়ার নয়।
উল্লেখ্য, বাড়িতে বেআইনিভাবে কাঠ মজুতের অভিযোগে গত বছর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল বন দপ্তরের আধিকারিকরা। যে ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জলপাইগুড়ির এই অ্যাথলিট। তিনি বলছেন, “আমার সাফল্যে অনেকেরই হিংসা হয়। আমার মাকে হেনস্তা হতে হয়েছে। আমার আর তাই এসব ভাল লাগছে না। পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে চাই।” যদিও স্বপ্নার কচ সুভাষ সরকারের দাবি, আবেগের বশেই এ সমস্ত কথা বলছেন স্বপ্না। এত তাড়াতাড়ি খেলা ছাড়বেন না তাঁর শিষ্যা।