সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের প্রচারে যাওয়া কার্যত অভিশাপ হল ফিরদৌসের। ব্যক্তিগত জীবনে না হলেও পেশাগত জীবনে সমস্যায় পড়লেন অভিনেতা। রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারে যাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তোপের মুখে পড়লেন তিনি। ভারত সরকার তাঁর ভিসা বাতিল করে। কালো তালিকাভুক্ত করে ফিরদৌসকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়। শোনা যায়, ফলে আপাতত বিশ বাঁও জলে ‘দত্তা’-র শুটিং।
বহুদিন পর এপার বাংলার ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল ফিরদৌস আহমেদের। ছবিতে বিলাসবিহারীর ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। এই ছবিতেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে বিপরীতে কয়েক বছর পর অভিনয় করতেন তিনি। ঋতুপর্ণাকে ছবিতে বিজয়ার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। কিন্তু ফিরদৌসের ভিসা বাতিলের পর শুটিংয়ের কাজ নাকি আপাতত স্থগিত। তবে এনিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কেউ কিছু জানাননি। তাঁর জায়গায় অন্য কোনও অভিনেতাকে নেওয়া হবে, নাকি শুটিং পিছিয়ে দেওয়া হবে, তা নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে নারাজ নির্মাতারা।
[ আরও পড়ুন: #MeToo ইস্যুতে এবার অজয় দেবগনকে তোপ দাগলেন তনুশ্রী ]
১২ এপ্রিল কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। কিন্তু কলকাতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে বের হন তিনি। বিতর্কের সূত্রপাত এখান থেকেই। অভিনেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। এরপর ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মঙ্গলবার রাতের বিমানে ঢাকায় ফেরেন ফিরদৌস। দেশে ফিরে তিনি বলেন, “ভারতে লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের এই নির্বাচন পূর্বের মতো সাড়া বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই সময়টায় আমি ভারতে ছিলাম। সকলের মতো আমারও আগ্রহের জায়গায় ছিল এই নির্বাচন। ফলে ভাবাবেগে তাড়িত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্বাচনী প্রচারে আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করি। এটা পূর্বপরিকল্পনার কোনও অংশ ছিল না। শুধুমাত্র আবেগের বশবর্তী হয়ে আমি অংশগ্রহণ করেছি। কারও প্রতি বিশেষ আনুগত্য প্রদর্শন বা কোনও বিশেষ দলের প্রচারের লক্ষ্যে নয়, আবার কারও প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। ভারতের সকল রাজনৈতিক দল এবং নেতার প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমি ভারতের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
[ আরও পড়ুন: একাধিক বিস্ফোরণের মূলচক্রীকে ধরতে মরিয়া অর্জুন কাপুর! কিন্তু কেন? ]
The post বিতর্কের জেরে বন্ধ টলিউডের দরজা, ঋতুপর্ণার বিপরীতে অনিশ্চিত ফিরদৌস! appeared first on Sangbad Pratidin.