সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুর্ঘটনার জেরে বাংলাদেশের (Bangladesh) নারায়ণগঞ্জে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ জলপথ পরিবহণ। ব্যাপক সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুনসিগঞ্জ পর্যন্ত লঞ্চ বা ফেরি চলাচল (Ferry service) বন্ধ সোমবার থেকে। লঞ্চ টার্মিনালের পাশে লঞ্চগুলো বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিনা নোটিসেই এভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষজন। যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। লঞ্চ বন্ধ থাকার কথা শুনে তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন।
রবিবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের (Narayanganj) শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবি হয়। রূপসী-৯ নামের পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় এমএল আশরাফউদ্দিন নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ। তাতে অন্তত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবুরিরা এখনও পর্যন্ত দু’জন মহিলা, দুটি শিশু ও একজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেন্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল কাজ করছে।
[আরও পড়ুন: ঝুলন্ত বাবা, বিছানা ও মেঝেয় পড়ে মা-মেয়ের দেহ, একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য]
দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তিরে ওঠা মহম্মদ আবু তাহের জানান, রূপসী-৯ নামের কার্গোটি তাঁদের লঞ্চটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর অন্তত ৫০ মিটার দূরে গিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে অন্তত ৪০ যাত্রী ছিল। নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মুনসিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চকে সিটি গ্রুপের রূপসী-৯ কার্গো ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধারকাজ শুরু করে।
[আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে গতিপথ বদল, দিল্লি-দোহা যাত্রীবাহী বিমানের জরুরি অবতরণ করাচিতে]
এই নৌপথে নিয়মিত যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁদের বক্তব্য, সড়কপথে যাতায়াতে অনেক সময় লাগে, খরচও বেশি। তাই লঞ্চই ভরসা। তবে নারায়ণগঞ্জ-মুনসিগঞ্জ জলপথে নিরাপত্তায় যথেষ্ট গলদ রয়েছে, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। অভিযোগ, দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে কর্তৃপক্ষ লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে।