সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে নয়া দিগন্ত ছুঁয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী শুক্রবার ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এহেন সময়ে সিলেট সীমান্তে একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (BGB) ও ‘বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স’ (BSF)-এর মধ্যে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত]
সিলেটের বিয়ানিবাজারের গজুকাটা সীমান্তে একটি মসজিদের পুনর্নির্মাণকাজে আপত্তি জানিয়েছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তারপরই পালটা অবস্থান নিয়েছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফলে সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাগ মিটিং হয় দুই বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে। সেখানে নো ম্যানস ল্যান্ডে বিএসএফের তৈরি বাঙ্কারগুলি সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি, মসজিদের নির্মাণকাজে বাধা না দেওয়ার অনুরোধও করা হয় বাংলাদেশের বাহিনীর তরফে। তবে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। অভিযোগ, বিয়ানিবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা এলাকায় সীমান্তের ১৩৫৭ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ অংশে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয়রা। এ সময় কাজে বাধা দিয়ে বিএসএফ তাদের সীমান্তবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে চারটি বাঙ্কার নির্মাণ করে সোমবার রাত থেকে অবস্থান নেয়।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ বাংলাদেশ আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই সফর হলেও এর কূটনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, ব্যবসা থেকে করোনা লড়াইয়ে ভারতের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশ। পালটা, ঢাকার উপর চিনা প্রভাব খর্ব করতে মরিয়া। এছাড়া, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে হাসিনার সমর্থন প্রয়োজন নয়াদিল্লির। সব মিলিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সহাবস্থান অত্যন্ত জরুরি। এহেন সময়ে সীমান্তে ফের উত্তেজনা তৈরি হলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।