সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ (Fifa World Cup 2026) হতে চলেছে ৪৮টি দেশের। বর্তমানে যেখানে মোট ৬৪টি ম্যাচ হয়, নয়া নিয়মে তা এক লাফে বেড়ে হয়ে যাবে ৮০টি। অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ফিফা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ফলে খানিকটা সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছিল। এই বিশাল মাপের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠছিল।
সেসব সংশয় এবার মিটিয়ে দিল ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা জানিয়ে দিল, ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে ৩টি দেশের ১৬টি শহরে। ম্যাচের সংখ্যা এতটা বাড়ার পরও যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই এভাবে ভেন্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে FIFA। এই ১৬টি শহরের মধ্যে ১১ টি শহর আমেরিকার (USA)। বাকি ৫ টি শহর মেক্সিকো (Mexico) ও কানাডার। এই শহরগুলি হল আমেরিকার আটলান্টা, বস্টন, ডালাস, হউস্টন, কানসাস সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, সান ফ্র্যান্সিস্কো, সিয়াটেল। কানাডার টরেন্ট, ভ্যাঙ্কুভার। মেক্সিকোর গুয়াডালজারা, মেক্সিকো সিটি এবং মন্টেরি।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি, চোটের জন্য ইংল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে গেলেন লোকেশ রাহুল]
মার্কিন মুলুকে আয়োজিত হবে ৬০ টি ম্যাচ। ১০টি করে ম্যাচ আয়োজিত হবে কানাডা ও মেক্সিকোতে। ফাইনাল আয়োজিত হবে নিউ ইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। এর আগে মেক্সিকো এককভাবে দু’বার (১৯৭০ ও ১৯৮৪) এবং আমেরিকা এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল একবার (১৯৯৪)। তবে, কানাডা (Canada) এখনও একবারও পুরুষদের বিশ্বকাপ আয়োজন করেনি।
[আরও পড়ুন: কলকাতা ছাড়ার আগেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করবেন সুনীল ছেত্রী]
রাজনৈতিকভাবে এই তিন দেশের সম্পর্ক এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো নয়, ফলে কতটা সঠিকভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে তা নিয়ে সন্দিহান ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। যদিও, তিন দেশের ফুটবল কর্তাদের আশা রাজনৈতিক সম্পর্ককে ছাপিয়ে যাবে ফুটবলের আবেগ। তাছাড়া বিশ্বকাপ আয়োজনের ফলে আর্থিকভাবেও লাভবান হবে সংস্থাগুলি। আয়োজকদের আশা এই টুর্নামেন্ট থেকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার রোজগার হবে তিন দেশের। অন্যদিকে, ফিফার রোজগার বেড়ে দাঁড়াবে ৮.১ বিলিয়ন।