সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কি-বোর্ডে তুফান তুলছেন নেটদুনিয়ার বিশেষজ্ঞরা। স্থান-কাল নির্বিশেষে তাঁদের আক্রমণে বিদ্ধ হতে হয়েছে একের পর এক তারকা-মহাতারকাকে। কখনও তা মাত্রা ছাড়িয়েছে, আবার কখনও ছাড়িয়েছে শালীনতা। সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে ফুটবল কিংবদন্তিদের পরিবারকেও ছাড় দিচ্ছেন না ট্রোল-সম্রাটরা। পর্তুগাল ছিটকে যাওয়ার পর সুযোগসন্ধানীরা এবার টার্গেট করলেন তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজকে।
[টানটান লড়াই শেষে হার মানল ডেনমার্ক, ২০ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ আটে ক্রোয়েশিয়া]
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পর্তুগালের শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে রোনাল্ডোকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন জর্জিনা। ম্যাচ শেষ হতেই সেই পোস্টে একের পর এক আগমন ঘটতে থাকে নিন্দুকদের। আর তাদের আক্রমণের ভাষা যে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছে তা হয়তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ বললেন, “এবার বুঝতে পারছি কেন রোনাল্ডোর বাড়ি ফেরার এত তাড়া?” আবার কেউ বললেন, “চিন্তা কোরোনা তোমার বয়ফ্রেন্ড এবার তোমার কাছেই ফিরছেন।” কারও কারও আক্রমণের ভাষা অবশ্য অশালীন ছিল না। তারা বলছেন, “রোনাল্ডো তোমায় উরুগুয়ের জয় উপহার দিচ্ছেন” বা “তোমার জন্যই বিদায় নিতে হল রোনাল্ডোকে”- এই ধরনের কথা।
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর একই রকম ট্রোলের শিকার হতে হয়েছিল লিওনেল মেসির স্ত্রী অ্যান্তেনেলাকেও। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দিন মেসিকে তাতাতে ইনস্টাগ্রামে তিন মাসের ছেলের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অ্যান্তেনেলা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘ভামোস পাপি’, যার বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায় ‘বাবা তুমি এগিয়ে যাও’। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ হারার পর অ্যান্তোনেলার এই পোস্টের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ সমর্থকদের একাংশ। রীতিমতো ‘ট্রোল’ করা হয় মেসির স্ত্রীকে। মেসি-রোনাল্ডোদের মতো মহাতারকাদের কাছ থেকে হয়তো প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। আর ব্যর্থ হলে সেই প্রত্যাশা ক্ষোভে পরিণত হওয়াটাও হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে তাদের আত্মীয়-বন্ধুদের আক্রমণ করা কতটা সমর্থনযোগ্য তা হয়তো ভেবে দেখা উচিত ছিল ‘ইন্টারনেট ওয়ারিয়র্স’-দের।
[রক্তেই আছে সংগ্রাম, রুশদের অদম্য জেদের কাছে হার মানল স্পেনের তিকিতাকা]
The post ছাড় পেলেন না জর্জিনাও, নেটিজেনদের ট্রোলে বিদ্ধ রোনাল্ডোর বান্ধবী appeared first on Sangbad Pratidin.