সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গ্রেটেস্ট ফুটবলার নট টু উইন এ ওয়ার্ল্ড কাপ’ তকমাটা কী এবার ক্রুয়েফের থেকে ছিনিয়ে নিতে চলেছেন মেসি বা রোনাল্ডো৷ এ নিয়ে হয়তো বছরের পর বছর ধরে চলবে তর্ক-বিতর্ক৷ তবে, একটা বিষয় নিশ্চিত এই দুই মহাতারকা যদি কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি না তুলতে পারেন তাহলে সারাজীবন ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবেই থেকে যাবেন৷ এই সাধের সোনার পরী ছুঁতে না পারা সেরা তারকাদের তালিকায় সবার প্রথম সারিতেই উচ্চারিত হবে মেসিদের নাম৷ যে তালিকা ইতিমধ্যেই তারকা খচিত৷
[রাশিয়ায় কীসের আতঙ্ক তাড়া করছে ফুটবলপ্রেমীদের?]
জোহান ক্রুয়েফ:
টোটাল ফুটবলের অন্যতম ধারক ও বাহক৷ ডাচ ফুটবল ঘরানাকে বিশ্বমঞ্চে প্রথম তুলে ধরেছিলেন জোহান ক্রুয়েফই৷ তিনবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী৷ আয়াখস এবং বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব ফুটবলে চূড়ান্ত সাফল্য৷ কিন্তু বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি জোহান ক্রুয়েফ৷ সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে আনলাকি ফুটবলার তিনিই৷ ১৯৭৪’-এর বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেও জেতাতে পারেননি ক্রুয়েফ৷ পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ফাইনালে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছিল ডাচদের৷ টুর্নামেন্টের সোনার বল পেয়েছিলেন ক্রুয়েফই৷ কিন্তু সোনালি ট্রফি তাঁর অধরাই থেকে গিয়েছে৷ এরপর একাধিকবার ফাইনালে গিয়েছে নেদারল্যান্ডও, তবু এখনও কোনও ডাচ অধিনায়ক বিশ্বকাপ ট্রফি তোলার সুযোগ পাননি৷
পাওলো মালদিনি:
একসময় বলা হত ইউরোপের সবচেয়ে সহজ চাকরি হল ইতালির গোলরক্ষকের চাকরি, কারণ ইতালির গোলক্ষকদের তেমন কোনও কাজই করতে হয় না৷ সৌজন্য ইতালির বিখ্যাত কাত্তানেচ্চিও রক্ষণ৷ সেই রক্ষণের স্তম্ভ ছিলেন মালদিনি৷ এসি মিলানের হয়ে ক্লাব পর্যায়ে সব টুর্নামেন্ট জিতেছেন৷ অথচ দেশের হয়ে কোনও খেতাবও জিততে পারেননি মালদিনি৷ ১৯৯৪-বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে৷
আলফ্রেডো ডি স্টোফানো:
রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের সেরা তারকাদের মধ্যে একজন৷ শুধু ব্যালন ডি’অর নয়, তিনি জিতেছেন সুপার ব্যালন ডি’অর৷ যা শুধুমাত্র ডি’স্টেফানোকে দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছিল ফ্রেঞ্চ ফুটবল, আর কাউকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি৷ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তিনটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, খেলেছেন আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং স্পেনের হয়ে৷ কোনও দলের জার্সিতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি স্টেফানো৷
[বিশ্বকাপে ‘স্পর্শকাতর’ নেইমার, হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
ফেরেঙ্ক পুসকাস:
বিশ্বকাপ ১৯৫৪’ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হাঙ্গেরির হার আজও ফুটবল বিশ্বের কাছে ‘মিরাকল অব বার্ন’ নামে পরিচিত৷ সেসময় ছিল হাঙ্গেরির স্বর্ণযুগ৷ সেরা তারকা ছিলেন ফেরেঙ্ক পুসকাস৷ পুসকাসের হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত পশ্চিম জার্মানির কোনও সম্ভাবনায় দেখছিলেন না বিশেষজ্ঞরা৷ অথচ সেই জার্মানিই চমকে দিল গোটা বিশ্বকে৷ বিশ্বকাপ অধরা রইল আরও এক মহাতারকার৷
ইউসেবিও:
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আগে পর্তুগালের সবচেয়ে সফল তারকা ছিলেন উইসেবিও৷ লুইস ফিগোর চেয়েও তাঁর জনপ্রিয়তা বেশি ছিল অনেকাংশেই৷ ১৯৬৫ তে ব্যালন ডি’অর-ও জিতেছিলেন ইউসেবিও৷ ক্লাব পর্যায়ে টানা ১১ বার লিগ জিতেছিলেন বেনফিকার হয়ে৷ কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়ে তিনিও দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি৷ ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ইউসেবিওর পর্তুগাল৷ সেমিফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোলও করেন তিনি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত জর্জ বেস্টের ইংল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হতে হয় পর্তুগালকে৷
The post শুধু মেসি-রোনাল্ডো নন, বিশ্বকাপ অধরা মাধুরী এই তারকাদের কাছেও appeared first on Sangbad Pratidin.