প্রিয়ক মিত্র: শুক্রবার মুক্তি পেল 'রবিন্স কিচেন' (Robins Kitchen)। ছবির মেরুদণ্ড বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) ও প্রিয়াংকা সরকারের (Robins Kitchen) অভিনয়। বাংলা ছবির এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় মুশকিল, সদিচ্ছা ও ফলাফলের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। সেকথা আরও একবার প্রমাণিত হল বাপ্পা-র কাহিনি ও নির্দেশনায় ‘রবিন্স কিচেন’-এ। দীর্ঘদিন আগে বাংলা টেলিভিশনে তৈরি হওয়া ‘স্বাদ’ বা বাংলাদেশের পাল্প-দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়া মোহম্মদ নাজিমউদ্দিনের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সম্পর্কে এখন অনেকেই অবগত। টমাস হ্যারিসের ‘দ্য সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস’ উপন্যাস, একেবারে হালে চেলসি জি সামার্সের ‘আ সার্টেন হাঙ্গার’ আলোড়িত করেছে থ্রিলার-ভক্তদের। ‘রবিন্স কিচেন’ কিছুটা একই গোত্রের ভাবনার বীজকে তার আখ্যানে লালন করেছে, প্রেম, জীবনের ওঠাপড়ার আবেগঘন গল্পের ফাঁকে। কিন্তু চিত্রনাট্যের মূল সমস্যাটা হল, তা কখনও ফুড মুভি, কখনও প্রেমের ছবি, কখনও বা নেহাত থ্রিলারের আবর্তে ঘুরতে থাকল।
নির্মাণ ও সম্পাদনাতেও তার ছাপ স্পষ্ট। ছবিতে গান একটিই, কিন্তু গান ছাড়াও বিবিধ দীর্ঘায়িত দৃশ্য ও মন্তাজ ছবির গতি রোধ করেছে পদে পদে। রবিন একটি ক্যাফে খুলেছে, যার মূল আকর্ষণ, তার মায়ের অনুপ্রেরণায় শেখা একটি রান্না, চিকেন চিজ তন্দুরি। তার দুই বন্ধু, সোহেল ও অনুভব তার সঙ্গী। এই দলে এসে যোগ দেয় নীহারিকা। নীহারিকা ও রবিন, দুজনেরই বাবা-মা নেই। রবিনের অতীতের আভাস দর্শক কিছুটা পায়, যে অতীতে রহস্য আছে। এর মধ্যেই অরিত্র বণিক নামে এক ছাত্রনেতার আবির্ভাব ঘটে। সে কাফের জমি দখল করতে চায় প্রোমোটারের ইন্ধনে। নীহারিকা আর রবিনের প্রেমও শুরু হয়। কিন্তু এর মধ্যেই ঘনায় অন্ধকার। সঙ্গে রহস্য জমে রান্নার রেসিপি নিয়েও।
[আরও পড়ুন: খোপায় পলাশ, কপালে চন্দন, ‘বহুরূপী’ লুকে বাজিমাত কৌশানীর, পুজোর বক্স অফিস কাঁপাবে ‘ঝিমলি’]
বনি সেনগুপ্ত ও প্রিয়াঙ্কা সরকার- ছবির মূল দুই অভিনেতাই ছবির মেরুদণ্ড হয়ে ওঠেন। বনির পরিণত অভিনয় প্রশংসনীয়। প্রিয়াংকা সরকার মালিন্যের মধ্যেও উজ্জ্বলতার দীপ্তি জ্বালতে পারেন তাঁর উপস্থিতি ও অভিনয়ে। গা রি-রি করায় শান্তনু নাথের অভিনয়। ছবির শেষ থেকেই স্পষ্ট, ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্মাণের সূত্র রয়েছে, অন্তত সিক্যুয়েলের আভাস রয়েছে।