সুপর্ণা মজুমদার: বহুদিন বাদে সিনেমার পর্দায় সঞ্জয় দত্ত আর রবিনা ট্যান্ডন জুটি। এদিকে আবার হিন্দি টেলিভিশনের হার্টথ্রব পার্থ সামথান অন্যতম মুখ্য চরিত্র। সঙ্গে টি-সিরিজের গুলশন কুমারের মেয়ে কুশালি কুমার। এই স্টারকাস্ট নিয়েই 'ঘুড়চড়ি' সিনেমা তৈরি করেছেন পরিচালক গান্ধী। বহুদিন বাদে সিনেমায় স্নেহময়ী মা তথা কড়া শাশুড়ির ভূমিকায় অরুণা ইরানিকেও দেখা গেল।
ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়াকেই সাধারণত 'ঘুড়চড়ি' বলা হয়। অতএব জিও সিনেমায় মুক্তি পাওয়া এই ছবির যাবতীয় ঘটনা বিয়েকে কেন্দ্র করেই। পুরুষদের অন্তর্বাসের ব্যবসা করে চিরাগ (পার্থ সামথান)। বাবা বীর (সঞ্জয় দত্ত) ও ঠাকুমা কল্যাণীদেবীকে (অরুণা ইরানি) নিয়ে তাঁর পরিবার। এক দিদি ও আত্মীয় স্বজনও রয়েছে। সবার একটাই চিন্তা, কবে হবে চিরাগের বিয়ে?
[আরও পড়ুন: নীরজ চোপড়ার বায়োপিকে অভিনয় করুন শাহরুখ, আবদার সোনাজয়ী পাক জ্যাভলিন থ্রোয়ার নাদিমের]
এদিকে চিরাগের কোনও পাত্রীই পছন্দ হয় না। কিন্তু একজনকে ভীষণ পছন্দ হয়ে গেল। নাম তার দেবিকা (কুশালি কুমার)। দেবিকার কথা বাড়িতে বলতে গিয়েই বিপত্তি। চিরাগ জানতে পারে, তার বাবা বীরও প্রেমে পড়েছে। প্রাক্তন প্রেমিকা মেনকা (রবিনা ট্যান্ডন) তাঁর জীবনে ফিরে এসেছে। আর সেই মেনকাই দেবিকার মা। অর্থাৎ ছেলে বিয়ে করতে চায় মেয়েকে, আর বাবা চায় মেয়ের মাকে বিয়ে করতে। তার পর? তার পরের গল্প ইচ্ছে হলে জিও সিনেমায় দেখে নিতে পারেন। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।
সিনেমার গল্প রসে ডোবানো জিলিপির চেয়েও জটিল। তাতেই চিত্রনাট্যের যাবতীয় সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। গল্পের বুনন যদি না থাকে তাহলে তো অভিনেতাদেরও কিছু করার থাকে না। নয়ের দশকের হিট জুটি সঞ্জয়-রবিনা। তাঁদেরও বড্ড বেশি বেমানান মনে হল। পার্থ কমেডির চেষ্টা করেও পারেননি। আবেগের দৃশ্যে কুশালিও দুর্বল। তার পর সেই 'শেষ ভালো যার সব ভালো তার' ফর্মুলা। গতানুগতিক ফ্যামিলি ড্রামা হয়েই রয়ে গেল 'ঘুড়চড়ি'। তাও বড় একঘেয়ে ও দুর্বল।
সিনেমা - ঘুড়চড়ি
অভিনয়ে - সঞ্জয় দত্ত, রবিনা ট্যান্ডন, পার্থ সামথান, কুশালি কুমার, অরুণা ইরানি, আকাশ দাভাড়ে, অচিন্ত কর প্রমুখ
পরিচালনায় - বিনয় গান্ধী