shono
Advertisement

সেক্সটরশনের ফাঁদে পা দিলেই খোয়াতে হচ্ছে টাকা! ব্যাপারটা কী?

ইতিমধ্যেই টাকা খুইয়েছেন অনেকে।
Posted: 08:38 PM Nov 25, 2021Updated: 08:38 PM Nov 25, 2021

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সাইবার প্রতারণার নয়া ফাঁদ সেক্সটরশন! পা দিলেই খোয়াতে হচ্ছে অর্থ, সম্মান দুটোই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই জালিয়াতরা প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে পূর্ব বর্ধমানেও (Purba Bardhaman)। অভিযুক্তদের ধরতে তদন্তে পুলিশ।

Advertisement

কীভাবে ঘটছে সেক্সটরশন? অভিযোগ, যৌনতার ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করে মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে রেকর্ড করে রাখা গোপন মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট বানাচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। বিভিন্নজনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে। তা অ্যাকসেপ্ট করলেই মেসেঞ্জারে শুরু হবে চ্যাট। মেয়ে সেজে পুরুষরাই অনলাইনে বাড়াচ্ছে ঘনিষ্ঠতা। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে শুরু হবে ভিডিও কল।

ভিডিও কলের হাতছানি এড়াতে না পারলেই বিপদ! ব্যাপারটা ঠিক কী? জালিয়াতরা সাইবার সেক্স ওয়েবক্যাম সাইট থেকে রেকর্ড করা ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে দেখায়। এদিকে ফোনের ওপ্রান্তে থাকা মানুষেরা সেটাতেই বিশ্বাস করে অনলাইনেই মেতে উঠছেন যৌনতায়। আর এই গোপন মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে নিচ্ছে প্রতারকরা। শুরু হচ্ছে ব্ল্যাকমেল করা। ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া কখনও আবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। কেউ সম্মানহানির ভয়ে তা দিচ্ছেনও। কিন্তু একবার টাকা দিলেই যে মুক্তি মিলছে তা নয়। বার বার টাকা আদায় করে ছাড়ছে প্রতারকরা। আর টাকা না দিলেই শেষমেশ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভিডিও।

[আরও পড়ুন: ১ কোটি রাজ্যবাসী পেয়েছে পরিষেবা, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে’র সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী]

পূর্ব বর্ধমান জেলার এক যুবক এই ধরণের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি সেক্সটরশন-এর ফাঁদে পড়েছিলেন। দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় তাঁর গোপন মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে। তার ফলে ওই যুবককে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জগতে অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে। আর এক যুবক বলেন, “আমিও একটি মেয়ের ছবি দেওয়া প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেয়েছিলাম। তার ফ্রেন্ডলিস্টে গিয়ে দেখি আমার পরিচিত কয়েকজন রয়েছে। তাই রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই অনলাইনে যৌনতার হাতছানি দিতেই তাকে ব্লক করে দিয়েছি। কয়েকটি ঘটনার কথা শুনেছিলাম আগে। তাই প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি।”

পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, ইতিমধ্যে কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। তার তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, “এই ধরণের সাইবার প্রতারণা এড়াতে সচেতনতাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে। তার পরেও কেউ যদি সেক্সটরশন স্ক্যামের শিকার হলে বা ব্ল্যাকমেল করতে চাইলে কেউ যেন টাকা না দেন। সঙ্গে সঙ্গে সাইবার থানাতে যেন রিপোর্ট করেন।” অপরিচিত কারওর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুত্ব বা ঘনিষ্ঠতা না করা, হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল না করার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: পাহাড়ের রাজনীতিতে চমক, গ্লেনারিস রেস্তরাঁ কর্তা অজয় এডওয়ার্ডের ‘হামরো পার্টি’র আত্মপ্রকাশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement