শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ। গ্রেপ্তার এক সিভিক ভলান্টিয়র-সহ চারজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। ধৃতদের শুক্রবার তোলা হবে জলপাইগুড়ি আদালতে।
একুশের নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections) আগে তৃণমূল সুপ্রিমো একাধিক জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিল কৃষকবন্ধু প্রকল্প, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। প্রতিশ্রুতি মতো ক্ষমতায় এসেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ও কৃষকবন্ধু প্রকল্প আগেই চালু করেছে তৃণমূল সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদনের পদ্ধতিও জানিয়েছেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ আগষ্ট থেকে শুরু হবে দুয়ারে সরকার। সেখানেই আবেদন করা যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জলপাইগুড়িতে বেআইনিভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নামে টাকা তোলার ছক কষেছিলেন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়র বাপ্পা দে সরকার ও তার দলবল।
[আরও পড়ুন: বৈবাহিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের? গলার নলি কেটে খুন মা, খালের জলে পড়ে মৃত সন্তান]
অনেকেই সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে আবেদন করেন। মাস খানেক এভাবেই চলছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। অবশেষে জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে শিখা দে সরকার, বাপ্পা দে সরকার, বাপি দে সরকার এবং বিশ্বজিৎ মোহন্ত নামে চার অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে আমবাড়ি ফাড়ির পুলিশ। এদের মধ্যে বাপ্পা দে সরকার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্তব্যরত বলে জানাগিয়েছে। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করবে পুলিশ।