সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্তব্য, পালটা মন্তব্যে সরগরম ছিল একুশের ভোট (WB Election 2021)। প্রচারের মাইক হাতে পেয়ে অনেকেই সুর চড়িয়েছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন না বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty)। উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধেও। “সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বিজেপি নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে”, প্ল্যাকার্ড হাতে এই দাবিতে মানিকতলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকরা। থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় প্রিয়া সিনেমা হল বদলাচ্ছে টিকাকরণ কেন্দ্রে, চলবে সিনেমাও]
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় (Mukul Roy), শুভেন্দু অধিকারীদের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল। “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।” পরে আবার শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনায় নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেছিলেন, “ওখানে (শীতলকুচিতে) যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রণাম জানাই। কিন্তু কেন এই সব উসকানি দিয়ে চার জন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল?”
শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষও। “বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” বরানগরের সভায় দাঁড়িয়ে এমন কথা বলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর এমন মন্তব্যে সেই সময় বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সেই সমস্ত মন্তব্যের বিরুদ্ধেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকতলা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। থানার বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এদিকে এদিনই ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ভোটের ফলপ্রকাশের পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন রাজ্যের মোট ১৬ জন। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন! বিতর্কিত টুইট করে নেটদুনিয়ার রোষানলে স্বরা ভাস্কর]