সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম (Assam) কংগ্রেসের (Congress) অস্বস্তি বাড়াতে সক্রিয় হল হিমন্তের পুলিশ। সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি তাঁকে হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন অসম যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী অঙ্কিতা দত্ত। যদিও দল শ্রীনিবাসের পাশে দাঁড়িয়ে বহিষ্কার করেছে অঙ্কিতাকেই। যদিও শ্রীনিবাসের বিরুদ্ধে দিসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নেত্রী। তার ভিত্তিতে নেতাকে গ্রেপ্তার করতে এবার তৎপর হল অসম পুলিশ। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে পাকড়াও করতে অসম পুলিশের ৪ সদস্যের একটি দল রওনা দিয়েছে কর্ণাটকে (Karnataka)।
অঙ্কিতা অভিযোগ করেছিলেন, শ্রীনিবাস তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং অপমানজনক কথাও বলেন। এরপরেই থানায় অভিযোগ জানান তিনি। যদিও অসম প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি করে, ভুয়ো অভিযোগ করেছেন নেত্রী। দলের তরফে আরও বলা হয়, অঙ্কিতার আনা অভিযোগ আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বৃহস্পতিবারই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে নেত্রীকে। এই বিষয়ে অসমের কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া জানান, সন্তোষজনক জবাব দেননি অঙ্কিতা। অভিযোগের প্রমাণও দিতে পারেননি। মাঝখান থেকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। এই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ১০টি শহরে ঘুরেও মিলল না পরিত্রাণ! কীভাবে পুলিশের জালে অমৃতপাল]
এদিকে কর্নাটকের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত শ্রীনিবাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অসমের কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরার দাবি, অঙ্কিতা এখন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অনুপ্রাণিত। সেই কারণেই শ্রীনিবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। যদিও এই সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। গতকালই এই বিষয়ে পদ্ম শিবিরের মন্তব্য ছিল, “এক মহিলাকে হেনস্তা করা হয়েছে। তাঁর কথা না শুনেই ওই নেত্রীকেই দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রস। এটাই কংগ্রেসের মহিলা ক্ষমতায়নের মডেল।”
[আরও পড়ুন: পজিটিভিটি রেট ৭ শতাংশ! শেষ পাঁচদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত ৫০ হাজারেরও বেশি]
এই বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্তব্য করেন, “তারা (অসম কংগ্রেস) ভাবছে যে তিনি (অঙ্কিতা) মিথ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, আইওয়াইসি সভাপতিই সঠিক। অসম কংগ্রেস নেত্রীর পক্ষে কথা বললে আমি খুশি হতাম। কিন্তু আমরা দেখছি সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতি।” রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি সক্রিয় হল হিমন্তের পুলিশও। শ্রীনিবাসকে গ্রেপ্তার করতে কর্ণাটকে রওনা দিলেন পুলিশকর্মীরা।