ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) নিয়ে ফেসবুকে অসম্মানজনক পোস্ট। অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক ছাত্রনেতার নামে শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের করা হল অভিযোগ। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) বিশ্বভারতী ইউনিটের সদস্য অপূর্ব শরদের নামে অভিযোগ দায়ের করল বাম সমর্থিত বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুর সফর চলাকালীন এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শান্তিনিকেতন।
শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম “প্রতীচী”। এই বাড়ির একটা অংশ বিশ্বভারতীর, বারবার এমনই দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি বিভাগের তরফে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এমন অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব নানা মহল। এরই মাঝে স্যোশাল সাইটে ফেসবুকে অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির (ABVP) নেতা অপূর্ব শরদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, অমর্ত্য সেন দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় বসবাস করেন, সেখানেই পড়ান। ভারতের অর্থনীতির জগতে তাঁর অবদান একেবারে শূন্য। এরপর তিনি অমর্ত্যকে সেনকে সমর্থনকারীদের প্রতিও আঙুল তুলেছেন।
জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর ইন্টিগ্রেটর সায়েন্স বিভাগের ছাত্র অপূর্ব শরদ। তিনি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিশ্বভারতী ইউনিটের সদস্য। তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট ধরেই সোমবার শান্তিনিকেতন (Santiniketan) থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল বাম সমর্থিত ঐক্য মঞ্চ। বাম সমর্থিত বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চের তরফে তাঁর নামে অভিযোগ করেছেন অংশুক মুখোপাধ্যায়, অমিত কুমাররা।
[আরও পড়ুন: ফের তৃণমূলের অন্দরে করোনার থাবা, এবার আক্রান্ত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি]
অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর টানাপোড়েন দিনদিন বাড়ছে। একটা সময়ে যা প্রায় সকলের অগোচরে ছিল, তা আজ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। নোবেলজয়ীর বাড়ির জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে বিজেপি বিরোধী সুর আরও চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনকে তিনি চিঠি লিখেও সমবেদনা প্রকাশ করার পাশাপাশি এই লড়াইয়ে পাশে রয়েছেন বলেও জানান। এই মুহূর্তে তিনি বোলপুরেই রয়েছেন। তার আগে এবিভিপি সদস্যের এহেন অসম্মানজনক পোস্ট আইনের নাগালে এসে পড়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা শান্তিনিকেতনবাসীর।