সুকুমার সরকার, ঢাকা: আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় একটি জুতো কারখানা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
[আরও পড়ুন: ‘জীবনের বড় ভুল ইন্ডাস্ট্রি করা’, বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আক্ষেপ সংস্থার চেয়ারম্যানের]
জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ ঢাকার শুয়ারিঘাট অঞ্চলের একটি জুতো কারখানায় আগুন লাগে। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। দমকল আধিকারিক রাশেদ বিন খালেদ জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল। বেশ কিছুক্ষণ আগুনের সঙ্গে লড়াইয়ের পর রাত তিনটে নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী। ইতিমধ্যে নিহতদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চকবাজার থানার সাব-ইন্সপেক্টর আলোক কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন নিহতদের সকলেই পুরুষ। কারখানায় ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা।
গত জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ৫৫ জনের। সাততলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচুতলার একটি ফ্লোরে থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক সময়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনে। এ সময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন থেকে বাঁচতে শ্রমিকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে উঠে পড়েন। আবার কেউ কেউ প্রাণে বাঁচার জন্য ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে রাজধানী ঢাকার চকবাজারে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৭০ জন নিরীহ মানুষের। তারপরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেখানে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থায় যে গলদ রয়েছে, তা বেরিয়ে আসে। অভিযোগ, একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও নির্বিকার প্রশাসন। প্রতিবারই তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে তাতে তেমন কোনও ফল মেলে না। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আজও অত্যন্ত শোচনীয়। ফলে ফের এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকেই।