সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও রেললাইনে কংক্রিটের স্ল্যাব, তো কখনও বিস্ফোরক। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা। এসবকে ছাপিয়ে এবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল এক্সপ্রেস ট্রেনে। মঙ্গলবার সকালে তামিলনাড়ুতে এই দুর্ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফ দেন যাত্রীরা।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল তামিলনাড়ুর কড়াইকুডি থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল পল্লবন এক্সপ্রেস। সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ চেতিনাদ স্টেশনের কাছে হঠাৎ ট্রেনের নিচের অংশে আগুন দেখা যায়। আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফ দেন কিছু যাত্রী। সৌভাগ্যবশত অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নজরে আসার সময় দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। নিরাপদের ট্রেন থেকে নেমে আসেন সকল যাত্রী। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন রেলের আধিকারিকরা। চলে আগুন নেভানোর কাজ। অগ্নিকাণ্ডের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
প্রাথমিক তদন্তে রেলের তরফে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির ব্রেক বাইন্ডিংয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। যার জেরেই ঘর্ষণের ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ট্রেনটিতে। বিষয়টি নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। এর পর আগুন নিভিয়ে সারানো হয় ব্রেকের সমস্যা। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর রওনা দেয় ট্রেনটি। তবে এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ভারতীয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রকাশ্যে এসেছে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। কখনও রেললাইনে কংক্রিটের স্ল্যাব, তো কখনও লাইনের ফিসপ্লেট খুলে রাখা। লাগাতার এহেন ঘটনায় ট্রেন জেহাদের ষড়যন্ত্রও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশে সেনা জওয়ানদের ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রও সামনে আসে। চলতি মাসে এই কানপুরেই বড়সড় রেল দুর্ঘটনার ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসে। এর আগে রেললাইনে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার, পেট্রোলের বোতল, বারুদের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে এসবের পাশাপাশি রেলের নিজস্ব সুরক্ষা ব্যবস্থাও যে একেবারে ভেঙে পড়েছে এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।