সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমার ফের ভোলবদলের সম্ভাবনা কি আরও খানিকটা গতি পেল? লালুপ্রসাদের 'দরজা খোলা' রেখে আমন্ত্রণ। তা শুনে নীতীশের মুখে স্মিত হাসি। তারপর আবার লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেওয়া, এবং কাঁধে হাত রেখে বাহবা দেওয়া। নীতীশের কার্যকলাপে চিন্তার বলিরেখে উঠতেই পারে বিজেপি নেতাদের কপালে।
একসময় 'ইন্ডিয়া'-র অন্যতম উদ্যোগী ছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সেই জোট থেকে বেরিয়ে ফের এনডিএ-র সঙ্গে হাত মেলান। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ইন্ডিয়াতে কি ফিরছেন জেডি(ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার? এই প্রশ্নটা বিহার রাজনীতিতে ঘোরাফেরা করছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বৃহস্পতিবার সেই জল্পনা খানিক উসকে দেন, আরজেডির প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদ যাদব নিজে। তিনি বলেন, “নীতীশের জন্য ইন্ডিয়ার দরজা খোলা। তাঁরও উচিত নিজের দরজা খুলে দেওয়া। তাহলে দুই প্রান্তের লোক যাতায়াত করতে পারবেন।”
লালুর সেই প্রস্তাব পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি নীতীশ। সাংবাদিকরা তাঁকে ওই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি মৃদু হাসেন। হাতজোড় করলেন। তারপর বললেন, "আপনি কী বলছেন?" আর কোনও কথা বলেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই হাসিতে জল্পনা আরও বেড়েছে। নীতীশ এরপর জল্পনা বাড়ানোর মতো আরও একটি কাজ করেছেন। নতুন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবকে দেখে উষ্ণ অভ্যর্থনা বিনিময় করেছেন। একটা সময় তেজস্বীর কাঁধে হাত রেখে তাঁর প্রশংসাও করতে দেখা গিয়েছে নীতীশকে। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাতেই প্রশ্ন, পালাবদল কি তবে সত্যিই হচ্ছে।
গত এক দশকে একাধিকবার জোট বদলেছেন নীতীশ কুমার। কখনও এনডিএ-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারে সরকার গড়েছেন। কখনও আরজেডি, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। নতুন বছরের শুরুতেই তাঁর দলবদল নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।