সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নৌসেনা কর্মী লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডি এস চৌহানের৷ রণতরীর একটি জেনারেটর ইউনিটে শর্টসার্কিট থেকে আগুন বলে আশঙ্কা করছেন নৌসেনা আধিকারিকরা৷
[আরও পড়ুন: সব অপপ্রচার, বিপ্লব দেবের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে সরব স্ত্রী নীতি দেব ]
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় কর্ণাটকের কারোয়ার উপকূলে ছিল রণতরীটি৷ আগুন লাগার পরই তৎপরতার সঙ্গে সেটি নির্বাপণের চেষ্টা করেন নৌসেনার আধিকারিকরা৷ কিন্তু তাও এক অফিসারের মৃত্যু আটকানো যায়নি৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নৌসেনা৷ কীভাবে এই আগুন লাগল, কোথাও গাফিলতি ছিল কিনা, তাই শনাক্ত করবে ওই কমিটি৷
[আরও পড়ুন: ‘মোদি সরকারের অপেক্ষায় দেশ’, জোটসঙ্গী-সহ মনোনয়ন পেশ করে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী ]
প্রসঙ্গত, ২০১৩-তে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্য৷ রুশ নির্মিত এই রণতরীতে রয়েছে অত্যাধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, বারাক মিসাইল-সহ একাধিক ঘাতক অস্ত্র৷ ১৯৮৭-তে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌসেনায় ‘বাকু’ নামে এই জাহাজটি অন্তর্ভুক্ত হয়৷ এরপর ১৯৯২-তে ‘অ্যাডমিরাল গর্শকভ’ নামে এটি অন্তর্ভুক্ত হয় রুশ সেনায়৷ ১৯৯৬ পর্যন্ত রুশ সেনায় কাজ করার পর, ভারতের কাছে জাহাজটি বিক্রির প্রস্তাব দেয় রাশিয়া৷ এই যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকেই ভূমি থেকে আকাশে হামলায় সক্ষম বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা করে ভারত। আরব সাগরে হওয়া এই পরীক্ষায়, খুবই নীচ থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বারাক-৮। যার ফলে ভারতের নৌবাহিনী এবং এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের শক্তি আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের৷