সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্যাংরায় ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। সোমবার সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। আগুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না।
অন্যান্য দিনের মতো ট্যাংরার ওই প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ চলছিল। আচমকা দেখা যায় কালো ধোঁয়া বেরচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা প্রায় গোটা কারখানাটিকে গ্রাস করে। দাহ্য পদার্থ কারখানায় মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাতে লাগান। একে একে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না’, বিজেপির ‘ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি’ নিয়ে মন্তব্য পার্থর]
কীভাবে ওই কারখানায় আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। কারখানা কর্মীদের একাংশের দাবি, প্লাস্টিকের কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। তাই আগুন নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এদিন ট্যাংরায় ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “যতগুলি সম্ভব কারখানার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। এখনও কাজ চলছে। ” আপাতত আগুন নেভানোর লক্ষ্যে দমকল কর্মীরা। আগুন নেভানোর পরই কীভাবে আগুন লাগল, তা জানা যাবে। অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।