সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে ফের কলকাতার বুকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে দাউদাউ আগুন দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের এক বাড়িতে। প্রাণ বাঁচাতে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন অগ্নিদগ্ধ যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়েছে বলে খবর। চারটি বাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তাদের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিন্স আনোয়ার রোডের একটি বাড়িতে সকালে রান্না হচ্ছিল। এমন সময় আচমকাই গ্যাস সিলিন্ডার লিক করার ফলে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণ ঘটে। একটি নয়, দুটি সিলিন্ডার ফেটেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। গোটা বাড়িতে আগুন লেগে যায়। শুধু তাই নয়, আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলে দেরিতে পৌঁছয় ইঞ্জিন। সময়মতো আগুন নেভানোর কাজ হলে এতটা ক্ষতি হতো না বলে তাঁদের দাবি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানাচ্ছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বাড়ির এক যুবক অগ্নিদগ্ধ হন। তিনি আগুন থেকে বাঁচতে দোতলা থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর নাম রানা নস্কর। এই এলাকা চারু মার্কেট থানার অন্তর্গত। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, চারু মার্কেট ও গলফগ্রিন থানার পুলিশের মধ্য়ে টানাপোড়েনের জেরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েও আসেনি পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সাউথ-ইস্ট ডিভিশনের ওসি। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। তিনি জানান, ফোন সাইলেন্ট থাকায় আগুনের খবর দেরি করে পেয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান বিধায়ক দেবাশিস কুমার। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।