নিরুফা খাতুন: আগুন লেগেছিল সেই সাতসকালে। সারাদিনের চেষ্টা তা নিয়ন্ত্রণে এনে শীতলীকরণের পদ্ধতি চলছিল কলকাতার (Kolkata) গার্স্টিন প্লেসে। কিন্তু রাতের বেলা সেই কাজ চলাকালীনই ফের দাউদাউ করে জ্বলে উঠল শতাব্দী প্রাচীন বিল্ডিং! ছড়ায় ব্যাপক আতঙ্ক। আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে দমকলের ৫ টি ইঞ্জিন ছুটে যায়। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আচমকাই বিবাদী বাগের (BBD Bag) ৫ নম্বর গার্স্টিন প্লেসের একটি পুরনো বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িটি বেশ ঘিঞ্জি এলাকায় হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বাড়ির ভিতর থেকে বারবার বিস্ফোরণের (Blast) শব্দও শুনতে পাওয়া যায়। স্থানীয়দের দাবি, খবর দেওয়া সত্ত্বেও দমকল প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন (Fire tenders) ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে চলে আগুন নেভানোর কাজ।
[আরও পড়ুন: কমছে দুধের দাম, করমুক্ত রেলের একাধিক পরিষেবা, জিএসটি বৈঠকে বড় পদক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কশাল আদালতের আইনজীবীদের অফিস ছিল বিবাদী বাগের এই বহুতলে। অগ্নিকাণ্ডে বহু আইনি নথি পুড়ে গিয়েছে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় আইনজীবীদের একাংশ। পুরনো বাড়িতে প্রচুর কাঠের সামগ্রী থাকায় আগুন এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে জানাচ্ছে দমকল। আর সেই কারণেই আগুন নিভতে প্রায় সারাদিন সময় লেগেছে।
[আরও পড়ুন: ‘এটাই মায়ের ঘর’, বটগাছ পুনর্স্থাপন করে খুঁটিপুজো পার্ক সার্কাস ময়দানে]
কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার পর ফের এই বহুতল থেকে দাউদাউ আগুন বেরতে দেখেন দমকল কর্মীরা। কুলিং প্রসেস চলায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিলই। নতুন করে অগ্নিকাণ্ডের জেরে আরও তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয় আগুন নেভানোর জন্য। ছড়ায় ব্যাপক আতঙ্ক। দমকল বিভাগের অনুমান, আগুন নিভতে অনেকটা সময় লাগবে।