অর্ণব আইচ: কাউন্সিলর তথা দাপুটে বিজেপি নেতা মণীশ খুনে (Manish Sukla) ধৃতদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিনটি বাইক উদ্ধার করল সিআইডি। তবে এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই শার্প শুটাররা মণীশ শুক্লাকে খুন করেছিল কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। রহস্যভেদ করতে অভিযুক্তদের টানা জেরা করা হচ্ছে।
মনীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ড নিয়ে রবিবার থেকেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার সকালেই খুনের জড়িত সন্দেহে খুররম ও গুলাব শেখ নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি আধিকারিকরা। ওই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর নাসির খানকে। এরপর বুধবার সুবোধ যাদব নামে তৃণমূল কর্মীকে বারাকপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত খুররম ও সুবোধকে জেরা করেই একাধিক তথ্য পায় গোয়েন্দারা। ধৃতরা জানায় একটি অস্ত্র ও কয়েকটি বাইকের কথা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই একটি কার্বাইন জাতীয় অস্ত্র উদ্ধার করে সিআইডি। মিলেছে ৩ টি বাইক। কিন্তু আদৌ শার্প শুটাররা ওই অস্ত্র ব্যবহার করেছিল? অস্ত্র ফেলে কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে তারা? ঘটনার নেপথ্যে আর কারা রয়েছেন? ধৃতদের জেরা করে এ সকল প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ করছে সিআইডি।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে শিকেয় দূরত্ববিধি, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় প্রস্তুতি স্বাস্থ্যদপ্তরের]
উল্লেখ্য, মণীশ খুনের মূল অভিযুক্ত ধৃত সুবোধ যাদব, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, মণীশ খুনের ছক পুরোটাই জানত সে। দুষ্কৃতীদের আশ্রয়ও দিয়েছিল। এছাড়া রবিবার অর্থাৎ ঘটনার দিন বেশিরভাগ সময়ে সুবোধই গোটা অপারেশন নজরে রাখছিল, যোগযোগ রাখছিল শার্প শুটারদের সঙ্গে। তাকে জেরা করে শার্প শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর কীভাবে মণীশ শুক্লাকে হত্যা করা হবে, তার গোটা ছক পুরোটাই জানা ছিল সুবোধের। এ নিয়ে মণীশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর মোট ৪ জন গ্রেপ্তার হল।