shono
Advertisement

Breaking News

কালীপুজোয় রাজ্যে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশে জারি নিষেধাজ্ঞা।
Posted: 04:34 PM Nov 05, 2020Updated: 08:55 PM Nov 05, 2020

শুভঙ্কর বসু: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চলতি বছর কালী, জগদ্ধাত্রী এবং কার্তিক পুজোয় রাজ্যে পুরোপুরি নিষিদ্ধ বাজি। তা বিক্রি করাও যাবে না। যাবে না পোড়ানোও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজি বিক্রি বন্ধ করার দায়িত্ব পুলিশের বলেও নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও নিষিদ্ধ বাজি।

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে আতসবাজি পোড়ালে তার ধোঁয়ায় কষ্ট হতে পারে করোনা রোগীদের। তাই চলতি বছর বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন চিকিৎসকরা। বরাবরের মতো তাতে সায় দিয়েছিলেন পরিবেশবিদরাও। এছাড়াও কালীপুজোয় (Kali Puja) মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণের আরজি নিয়েও একটি মামলা হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ‘মহামারী আইন ভাঙছে একটি রাজনৈতিক দল’, নাম না করে বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]

কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তরফে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাজি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়। বাজি বিক্রি করা হলেই কেনার প্রবণতা তৈরি হবে। তাই যাতে কোনওভাবে রাজ্যে বাজি বিক্রি না হয় তা রাজ্য পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও দুর্গাপুজোর মতোই কালী, জগদ্ধাত্রী এবং কার্তিক পুজোতেও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। কোনও মণ্ডপেই ঢুকতে দেওয়া হবে না দর্শনার্থীদের। এছাড়াও মণ্ডপের ৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দিতে হবে। ৩০০ বর্গমিটারের বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৫ জন এবং ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ জনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারকে কালী, জগদ্ধাত্রী এবং কার্তিক পুজোর বিসর্জনের গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে কোনওভাবেই শোভাযাত্রা করতে দেওয়া যাবে না।

ছটপুজোতে (Chhath Puja) কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেই মামলারও শুনানিও ছিল এদিন। মামলাকারীর দাবি ছিল প্রত্যেকটি জলাশয়ে ঠিক কত পরিমাণ ভিড় হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হোক। সেই অনুযায়ী হাই কোর্ট রাজ্যের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা জানতে চায়। আগামী ১০ নভেম্বর আবার এই মামলার শুনানি হবে। রাজ্যের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারে কলকাতা হাই কোর্ট।

[আরও পড়ুন: মধ্যাহ্নভোজ সারবেন অমিত শাহ, পায়েসের নলেন গুড় জোগাড়ে হিমশিম বাগুইআটির নবীন বিশ্বাস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement