কৃষ্ণকুমার দাস: ভোট মিটতেই ফের কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলা হয়েছে, ফের মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে ফিরহাদ হাকিমের হাতে। এছাড়া প্রশাসকমণ্ডলীতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে পুরনো দায়িত্ব।
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু পুরসভা এবং পুরনিগমের নির্বাচন সময়মতো করানো যায়নি। যার ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রাক্তন পুরবোর্ডের সদস্যদের। কিন্তু নাগরিক পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পুরসভার কাজ পরিচালনা করার জন্য প্রশাসকমণ্ডলী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিদায়ী মেয়র বা পুরপ্রধানদেরই সেই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় বসানো হয়। কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। নির্বাচনের আগে কমিশনে গিয়ে বিজেপি অভিযোগ জানিয়ে এসেছিল, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরও পুরসভার প্রশাসকরা বিভিন্নভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। পুরসভাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটের কাজে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন জানিয়েছিল, পুরপ্রশাসকের পদ থেকে সরাতে হবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের। নির্দেশ মেনে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররা।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ড: সিবিআই দপ্তরে হাজিরা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের]
কিন্তু ভোট মিটতেই ফের দায়িত্বে বহাল হলেন ফিরহাদ, অতীন, দেবাশিস কুমার-সহ প্রশাসকমণ্ডলীর সমস্ত সদস্যরা। একইভাবে ১৪১ টি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর পদে যাঁরা ছিলেন, ফের তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দায়িত্ব। শুধু তৃণমূল নয়, বাম, বিজেপি-সহ সমস্ত দলের কো-অর্ডিনেটর যাঁরা ছিলেন প্রত্যেককে কাজে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা পেয়ে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই পুরসভা যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। এদিনই দুপুর আড়াইটেয় প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বিকেল ৪ টেয় আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা। ফের মুখ্যপ্রশাসকের পদের দায়িত্ব পেয়ে সংবাদ প্রতিদিনকে ফিরহাদ জানালেন, “মমতাদি বলেছেন কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছি।” এদিন কমিশনকে দুষে তিনি বলেন, “কমিশনের মেরুদণ্ড কিনে নিয়েছেন মোদি। এভাবে একদিন সংবিধান ধ্বংস হয়ে যাবে। ওদের দেখিয়ে দেব কাজ করে।”
দেখুন ভিডিও: