সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভরা কাজের মরশুমে আচমকাই সব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল একটা গ্রেপ্তারির কারণে। নারদ কাণ্ডে (Narada case) গ্রেপ্তার হয়ে সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে প্রথমে জেলবন্দি, তারপর গৃহবন্দি দশা কাটাতে হয়েছে কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। তবে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের রায় অন্তর্বর্তী জামিন হয়েছে ফিরহাদ ৪ হেভিওয়েট নেতা। তারপর সন্ধে থেকেই কাজে নেমে পড়েছিলেন কলকাতার প্রশাসক। আর শনিবার তিনি ‘টক টু কেএমসি’ অর্থাৎ ভারচুয়াল মাধ্যমে শহরবাসীর মুখোমুখি হয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনা, সমাধান করার কাজে অংশ নিলেন। সকলকে করোনা টিকাদান-সহ দিলেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি।
এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা এখন অগ্রাধিকার। পরিকল্পনা করে সেই কাজই গুরুত্ব সহকারে করছিলেন কলকাতা পুরসভার (KMC) মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার তরফে কলকাতার সংক্রমণ রুখতে একাধিক উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু এই কাজে আচমকাই ছেদ পড়েছিল নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ গ্রেপ্তার হওয়ায়। সেখান থেকে ফিরে প্রথমে গৃহবন্দি দশায় তিনি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করেছিলেন। ফিরেই সেদিন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াস (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে সোনালি গুহ, তুঙ্গে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা]
শুক্রবার হাই কোর্টের নির্দেশে নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এরপর সন্ধে থেকেই পুরসভায় সশরীরে হাজির হয়ে কাজ করেন ফিরহাদ। আর শনিবার ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি জনসংযোগে অবতীর্ণ হন। সেখানেই একাধিক সমস্যার সমাধান করে দেন। ফিরহাদ জানান, ”কারও করোনা পরীক্ষা করতে সমস্যা হলে আমাদের জানান। আমাদের মোবাইল টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা আছে। বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।” ভ্যাকসিন প্রশ্নে তাঁর জবাব, কলকাতার প্রত্যেক নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে পুরসভা। আশা করা যায়, সেই লক্ষ্য সফল হবে। এদিন তিনি ফের বোঝালেন, কোনওভাবেই তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না। পুর প্রশাসকের সক্রিয়তা ছিল, আছে, থাকবেও।