সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গার্ডেনরিচ কাণ্ডের ক্ষত এখনও টাটকা। এরই মাঝে ফের বেফাঁস ফিরহাদ হাকিম। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেয়রের জবাব, “কোথায় বেআইনি নির্মাণ কীভাবে বলব? আইন হাতে নিয়ে বসে আছি নাকি!” যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।
গার্ডেনরিচ নির্মীয়মাণ বহুতল বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে চারদিন। এখনও কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে একজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে আটকে রয়েছেন শেরু নিজামি। কারণ, ঘটনার দিন থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তাঁর হদিশ মেলেনি। এদিকে শেরুই ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি আটকে। ফলে তাঁর খোঁজে ২৪ ঘণ্টা চলছে উদ্ধার কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে গার্ডেনরিচে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আটকে থাকা যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মদ নিয়ে নিত্য অশান্তি! রাগে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর]
এদিনই শহরের একাধিক বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গ ওঠে। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকারই তিনটি বহুতলের ছবি। দুটি বহুতলের মাঝে পাঁচ ফুট ব্যবধান রয়েছে কি না তা প্রশ্ন। আর সেই পাঁচফুটের মাঝেই দাঁড়িয়ে আরও একটি বিল্ডিং। ছবিতে দেখে যা ৫ তলা বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই বিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, “কোথায় বেআইনি নিমার্ণ কীভাবে বলব? আইন হাতে নিয়ে বসে আছি নাকি!” অর্থাৎ সাফ গোটা ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেললেন তিনি। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। মেয়রকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য খোঁচা দিয়ে বলেন, “আসলে এত দুর্নীতির মাঝে মেয়র নিজেও হয়তো অসহায়। ওনার কিছু করার নেই।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আধিকারিকদের দায় অবশ্যই আছে কিন্তু কাউন্সিলরদের চাপে তাঁদের কিছু করার ক্ষমতা নেই। যার ফলে এভাবে পাঁচ ফুটে পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরি হয়েছে।