সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে পৌঁছলেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে বিমানবন্দরেই তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
শপথগ্রহণের দিন আগেই ঠিক হয়েছিল। তার আগে মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছন সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী- শশী পাঁজা ও ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ছিলেন ডিজিপি মনোজ মালব্য, কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল ও মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। রাজ্যপালের হাতে ফুলের স্তবক তুলে দেওয়া হয়। সম্মান জানিয়ে গার্ড অফ অনারও দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেন নয়া রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, সেখানেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের আলাপচারিতা পর শপথগ্রহণ সময় নির্ধারিত হতে পারে।
[আরও পড়ুন: যৌথ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকুক মুখ্যমন্ত্রীর নামও, বরাদ্দের তথ্য তুলে দাবি ফিরহাদের]
দু সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। ২৩ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার শপথ নেবেন তিনি। উল্লেখ্য, তাঁর পূর্বসূরি তথা বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একপ্রকার সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, টুইট যুদ্ধ থেকে শুরু করে যা গড়িয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ পর্যন্ত। সরাসরি কোবিন্দের কাছে ধনকড়কে রাজ্যপাল পদ থেকে সরানোর আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দাবিতে সংসদেও সরব হয়েছিল তৃণমূল।
এরপর আচমকাই ধনকড়কে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। ফলে বাংলার রাজ্যপাল পদ ফাঁকা হয়ে যায়। অস্থায়ীভাবে এই পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশন। তাঁর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। লা গণেশনের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লা গণেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল রাজ্য বিজেপি। তারপরই নতুন স্থায়ী রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হয় সেটাই দেখার।