অর্ণব আইচ: বচসার জেরে ভোরবেলা গুলি চলল দক্ষিণ শহরতলির রিজেন্ট পার্কে (Regent Park)। গুলিতে জখম ২ জন। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এঁদের মধ্যে একজন এলাকায় সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। তাঁর উপর এভাবে হামলা মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্দেহে ভিক্টর ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। তার মাথায়ও গুলির আঘাত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। ভিক্টরের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক।
ঘটনার সূত্রপাত ভোর প্রায় পৌনে পাঁচটা নাগাদ। শীতের ভোরে গুলির (Firing) শব্দে ঘুম ভেঙে যায় রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার দক্ষিণ আনন্দপল্লির বাসিন্দাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিজিৎ মল্লিক এবং পঙ্কজ সাহা নামে দুই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি (Gun shot) চালায় ধৃত ভিক্টর এবং তার আরেক সঙ্গী। অভিজিতের পেটে গুলি লাগে। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে পঙ্কজের পেট এবং উরু জখম হয়। তাঁদের চিৎকার শুনে দ্রুত প্রতিবেশীরাই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসএকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার ট্রমা কেয়ার সেন্টার দু’জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে। অভিজিৎ এবং পঙ্কজের শরীরে অস্ত্রোপচার (Operation) করে গুলি বের করা হবে।
[আরও পড়ুন: BSF ইস্যুতে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় কেন্দ্রকে চিঠি ধনকড়ের]
ভিক্টর এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত, এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার ইমারতি সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে। তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়ায়। শুক্রবার ভোরের হামলার পিছনেও ব্যবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পঙ্কজ সাহা এলাকায় নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে তেঁতুলতলা দক্ষিণ আনন্দপল্লিতে। এমন মানুষের উপর এই হামলা কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর অনুগামীরা। স্থানীয় এক যুবকের কথায়, মাস তিনেক আগেও একবার পঙ্কজবাবুর বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল। এরপর আজকের গুলি কাণ্ড।
[আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Election: কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী স্ত্রী, প্রচার করতে হিমালয় থেকে নেমে এলেন স্বামী]
রিজেন্ট পার্ক সারাবছর ধরেই দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপের জন্য উত্তপ্ত থাকে। এলাকায় পুলিশের বাড়তি নজরদারিও চলে। তা সত্ত্বেও ভোররাতে বচসার জেরে ২ ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল কয়েকগুণ। তবে মূল অভিযুক্ত ভিক্টর গ্রেপ্তার হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে এলাকাবাসী। পুলিশ সূত্রে খবর, তারও আঘাত রয়েছে। তাই এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করিয়ে চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় অভিযুক্ত আরেকজ পলাতক।